কাঁচামাল-যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কায়ন জটিলতা দূর করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৪

লোহা ও ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করার ক্ষেত্রে পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা এবং বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

শনিবার (১৭ আগস্ট) এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল এবং রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।

স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে মাসুদুল আলম মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক মো. আমির হোসেন নূরানী।

সভায় লোহা ও ইস্পাত শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানার জন্য গুণগত এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে যেসব তরুণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এমনকি শিশুরা জীবন দিয়েছেন। এই সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আহত হয়ে এখনো যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে লোহা ও ইস্পাত শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শিল্পের বিদ্যমান সংকট দূর করতে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, শুধু ইস্পাত শিল্প নয়, সব খাতেই আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা শুনে আসছি বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের ইনভয়েস ভ্যালুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরে শুল্কায়ন করা হয়। এসব জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার ক্ষেত্রে বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আন্তরিক থাকবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যাংক সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, আয়করের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানো, এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, যৌক্তিক শুল্কায়ন মূল্যের আলোকে শুল্কায়ন করা- ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সভার শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার ৪০ কেজি। প্রতিবেশি দেশ ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার প্রায় ৯০ কেজি। বাংলাদেশে আকরিক লোহার খনি না থাকার কারণে চাহিদার প্রায় শতভাগ ইস্পাত আমদানি করতে হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত আমদানি হয় দেশে।

সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বর্তমান পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইএআর/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।