দলীয় পরিচয় খোঁজা ব্যবসায়ী সংগঠনের কাজ নয়: আবদুল আউয়াল মিন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪
ব্যবসায়ী সম্মেলনে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু

বিএনপি, জামায়াত কিংবা আওয়ামী লীগে নিজেদের পরিচয় খোঁজা ব্যবসায়ী সংগঠনের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু।

তিনি বলেন, আমি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলাম বিএনপির সময়ে। কেউ বলতে পারবে না তখনো আমি কারও দলীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করেছি। আমাদের কাজ খাতভিত্তিক ব্যবসার সমস্যা তুলে ধরে ব্যবসার পথ সুগম করতে সরকারকে চাপে রাখা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘দেশের বর্তমান সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ বিষয়ে ব্যবসায়ী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যবসায়ী সমাজ।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, কে বিএনপি, কে জামায়াত, কে আওয়ামী লীগ সেটি আপনারা ভুলে যাবেন। এখানে অনেক বড় নেতা আছেন। তারা আরও বড় নেতা হোন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দায়িত্বে থেকে দল না করে ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন খাতে কী সমস্যা সেটি তুলে ধরবেন।

দলীয় পরিচয় খোঁজা ব্যবসায়ী সংগঠনের কাজ নয়: আবদুল আউয়াল মিন্টু

তিনি বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ হয়ে বাংলাদেশকে এ পর্যায়ে এনেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এছাড়া যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তাদের এ আত্মত্যাগে যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে তাদের অভিনন্দন জানাই। তবে অন্তর্বর্তী সরকারে এখনো কোনো বাণিজ্য উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাকে অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নানান সমস্যার কথা। সমস্যা থাকতে পারে, তবে আমাদের মধ্য থেকে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্য আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।

যেসব খাতে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব খাতভিত্তিক আবার সংগঠন আছে। এসব সংগঠনে আমরা দল-মত নির্বিশেষে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য যাতে কাজ করতে পারি। আবার নতুন করে বিভিন্ন সংগঠন করার দরকার নেই।

বাংলাদেশের সমস্যা অফুরন্ত জানিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশ বিরাট রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। আমরা চাই দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হোক। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবো। তারা যাতে কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা সংস্কার করেন এবং সংস্কার শেষে ভোটের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য সুন্দরভাবে সম্ভব হবে না।

খাদ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বড়লোকদের ক্ষতি করে না। কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য এটি খুবই কষ্টের। তাদের আয়ের ৭০ শতাংশই চলে যায় খাবার কিনতে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এতে দেশের সব খাত ও চেম্বার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।