অভিনব কায়দায় উঠলো বেক্সিমকোসহ ৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ এএম, ১০ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বেক্সিমকোসহ ৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দামের সীমা) প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তবে এর মধ্যে ৩ কোম্পানির ওপর থেকে আগামী কার্যদিবস থেকেই এবং বাকি ৩টির ওপর ১৪ আগস্ট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এমন এক সময় এই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলো যখন বিএসইসির চেয়ারম্যান অফিসে আসছেন না এবং কোনো কমিশন সভা হয়নি। অথচ বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় সই করেছেন।

কমিশনের নতুন সিদ্ধান্তে রোববার (১১ আগস্ট) থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। আর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।

তবে বিএসইসির এই নির্দেশনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ বিএসইসির ১৯৬৯ অধ্যাদেশের ২০এ ধারার অধীনে এ সংস্থার চেয়ারম্যান একা কোনো আদেশ বা নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। এ ক্ষমতা শুধু কমিশনের।

১৯৯৩ সালের আইন অনুযায়ী, কমিশন বলতে বোঝায় বিএসইসি চেয়ারম্যান ও চার কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড। এই কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো পূর্ব নির্ধারিত এজেন্ডাসহ আগাম নোটিশে ডাকা কমিশন সভা এবং কোরাম পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে আলোচ্য সূচির ওপর আলোচনা সাপেক্ষে গৃহীত সিদ্ধান্ত।

কমিশনের সিদ্ধান্ত, আদেশ, নির্দেশনা বা নোটিশ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে বা তার নির্দেশনায় কমিশনের অপর কোনো কর্মকর্তা প্রকাশ/জারি করতে পারেন।

গত রোববার অবদি বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী দাপ্তরিক সফরে বিদেশে ছিলেন। গত সোমবারের সাধারণ ছুটির পর মঙ্গলবার থেকে দেশে থাকার পর একদিনও অফিস করেননি।

শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে।

এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পর্যায়ক্রমে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। তবে অদৃশ্য কারণে বেক্সিমকোসহ ৬ কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত রাখা হয়। এখন এই ছয় কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার মাধ্যমে সব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলো।

এমএএস/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।