গভর্নরের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগ ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে দেশের ব্যাংক খাতে লুটের অন্যতম সহযোগী অভিহিত করে নানান স্লোগান দিতে থাকেন। তারা আব্দুর রউফ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বুধবার অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনেও কার্যালয়ে আসেননি গভর্নর।
এদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন পলিসি ও নীতি কমিটির উপদেষ্টা আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের।
আরও পড়ুন
- রোষানলে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- পদত্যাগ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন নির্বাহী কর্মকর্তারা। তবে কর্মকর্তাদের তোপের মুখে অন্য তিন ডেপুটি গভর্নর কার্যালয় ত্যাগ করেছেন।
গত এপ্রিল মাসে থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সাংবাদিকদের ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। অর্থনীতিবিষয়ক রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন বিষয়টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
অবশেষে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
ইএআর/ইএ/এমএমএআর/এএসএম