কমপ্লিট শাটডাউন
ব্যাংকে নেই গ্রাহকদের চাপ
সাধারণত সপ্তাহের শুরু ও শেষ কার্যদিবসে ব্যাংকগুলোতে থাকে গ্রাহকদের তীব্র ভিড়। প্রতি সপ্তাহেরই চিত্র এটি। তবে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ কর্মসূচিতে আজ ব্যাংকগুলোতে নেই তেমন কোনো চাপ। গ্রাহক না থাকায় অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারে দু’একজন গ্রাহক রয়েছে। যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। তবে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের মেইন গেট আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্যরা। পরিচয় নিশ্চিত হয়েই ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক কর্মকর্তারাই অফিসে আসতে পারেননি। তবে গ্রাহকের উপস্থিতি কম থাকায় বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি অফিসে আসা কর্মকর্তাদের।
- আরও পড়ুন
- রণক্ষেত্র উত্তরা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর
রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জাগোনিউজকে বলেন, আজ গ্রাহকের উপস্থিতি নেই। ঈদের পর পরই দু’তিন যেমন গ্রাহক শূন্য থাকে, তেমনই অবস্থা বিরাজ করছে এখন। কোন গ্রাহক না থাকায় অধিকাংশ কাউন্টার ফাঁকা, কর্মকর্তারাও গল্প-আড্ডায় সময় পার করছেন।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। এ কারণে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। তবে অফিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, আজ সকাল থেকেই আমাদের কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। গ্রাহকের উপস্থিতি নেই। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ অফিসে আসছেন না।
ইএআর/এসআইটি/জিকেএস