এবার উল্টো পথে ক্যাপটিক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড
এক সপ্তাহে লেনদন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার নাম লিখিয়েছে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪২ পয়েন্ট।
এমন ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও কিছু প্রতিষ্ঠান বিপরীত পথে হেঁটেছে। দাম বাড়ার বদলে সপ্তাহজুড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে ক্যাপটিক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড। অথচ এর আগে এক মাসের বেশি সময় ধরে ফান্ডটির দাম টানা বাড়ে।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ফান্ডটির ইউনিট কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে দাম কমেছে। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সপ্তাহের ব্যবধানে ফান্ডটির ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ২৮ কোটি টাকার ওপরে।
গত সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দাম কমেছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মেলিতভাবে ফান্ডটির ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৮ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে প্রতিটি ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১৭ টাকা ৪০ পয়সা।
এই দাম কমার আগে ফান্ডটির দাম টানা বাড়ে। গত ২ মে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম ছিলো ৯ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ২৭ জুন প্রতি ইউনিটের দাম ১৭ টাকা ৪০ পযসায় উঠে। এই অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে কারণ জানতে চেয়ে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি।
গত বছরের ১৭ অক্টোবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওযা এই মিউচুয়াল ফান্ডটি এখনো বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবার থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ২৯ পয়সা লোকসানে রয়েছে।
এই মিউচুয়াল ফান্ডটির পরিশোধিত মূলধন ১৫৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর ইউনিট সংখ্যা ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ২৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি ইউনিটের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ আছে।
ক্যাপটিক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল রূপাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ দাম কমার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে এটলাস বাংলাদেশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইলের ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্সের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, লিন্ডে বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ৮১ শতংশ এবং জুট স্পিনার্সের ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এমএএস/এমএএইচ/এমএস