টেকসই উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগাতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

তিনি বলেছেন, ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি শুধু অর্থ মন্ত্রণলায়ের বিষয় নয়, এর সঙ্গে অনেক মন্ত্রণলায় ও বিভাগের অংশীদারত্ব রয়েছে। ইন্টারনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্লু বন্ড ও ব্লু লোন ইস্যু করছে, বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আইএফসি দেশে ব্লু বন্ড চালু করার লক্ষ্যে চুক্তি সই করেছে।

সুনীল অর্থনীতি নিয়ে বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের নিমিত্ত ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সম্পদের ওপর দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

‘আমাদের ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০টি মন্ত্রণলায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে-’- যোগ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মহাসাগরীয় অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০১০ সালের তুলনায় ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে। উদ্ভাবনী অর্থায়ন সমাধানগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধ পানির সম্পদ বৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং ব্লু ইকোনমির সাহায্য করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।