ঢাকার চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণে সময় বাড়লো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৪

ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষপর্যায়ে। এরই মধ্যে তিনটি ইকোপার্ক ও ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঢাকার চার নদীর (বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী) দুই পাড়ের ২২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাড়ে ৭ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিলার।

এছাড়া ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ২৫ কিলোমিটার, যা ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটনবান্ধব। এই কাজ আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করে জুন ২০২৫ নাগাদ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ নাগাদ।

এটাসহ ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-কৃষি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে বরগুনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট (এসি) পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট-এর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রকল্প; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন প্রকল্প; মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কুমিল্লা-সালদা-কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমওএস/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।