বাংলাদেশে ডেইরি ভ্যালু চেইন প্রকল্পে ডেনমার্কের অর্থায়ন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪
  • প্রায় ২৫.৪ কোটি টাকা (২৫.৫ মিলিয়ন ড্যানিশ ক্রোনা) অর্থায়ন
  • প্রকল্পের লক্ষ্য টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও কার্যকরী ডেইরি ভ্যালু চেইন প্রবর্তন
  • প্রকল্পটির প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী প্রাণ ডেইরি

বাংলাদেশে ‘গ্রিন ডেইরি পার্টনারশিপ ইন বাংলাদেশ-ক্রিয়েটিং এ সাসটেইনেবল অ্যান্ড প্রোডাক্টিভ ডেইরি ভ্যালু চেইন ইন সাউথওয়েস্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক দুগ্ধ প্রকল্পে প্রায় ২৫ দশমিক ৪ কোটি টাকা (২৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ড্যানিশ ক্রোনা) অর্থায়ন করেছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডানিডা গ্রিন বিজনেস পার্টনারশিপ (ডিজিবিপি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া পরিচালনায় প্রকল্পটির প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রাণ ডেইরি। এছাড়া সহযোগিতাপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইন্টিগ্রেটেড ডেইরি রিসার্চ নেটওয়ার্ক (আইডিআরএন), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সেগেস ইনোভেশন ও ডেনমার্ক এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কাউন্সিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বাণিজ্যিকভাবে কার্যকরী প্রবর্তনের মাধ্যমে এ প্রকল্পটি ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং ১০ হাজার খামারি গৃহস্থালির আয় ৩০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। খামারি গৃহস্থালির সংখ্যা ৫০ হাজারে বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। ৫ বছরব্যাপী প্রকল্পটিতে খামারিদের মধ্যে ৮০ শতাংশ নারী খামারি হবে। পরবর্তিতে দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণকে সহজতর করবে এবং বাজারে আরও টেকসইভাবে উৎপাদিত দুগ্ধ জাতপণ্য প্রবর্তন করবে প্রকল্পটি।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এবং ঢাকায় ডেনমার্ক দূতাবাসের হেড অব ট্রেড অ্যান্ড ডানিডা বিজনেস আলী মুশতাক বাটসহ প্রকল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটির অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি টেকসই এবং কার্যকরী দুগ্ধ ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রাণ ডেইরি নিবিড়ভাবে খামারিদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এ টেকসই প্রকল্পটির অংশ হিসেবে আমরা গরুর জন্য কার্যকরী খাদ্য, পশুর সুস্থতা, সার ব্যবস্থাপনা এবং জমির কার্যকরী ব্যবহার নিয়ে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি।

আরলা ফুডসের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি আইরিন কুইস্ট মর্টেনসেন বলেন, প্রবর্তক হিসেবে এ প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের বিশ্বাস দুগ্ধ শিল্পের স্বয়ংসম্পূর্ণতা, ব্যক্তি স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কর্মসংস্থান, সমতা ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রার সহায়ক হতে পারবো।

সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বলেন, বাংলাদেশ এ মুহূর্তে একটি দ্বৈত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন। এ উন্নয়নের যাত্রায় একটি অপরিহার্য অংশ হবে নিরাপদ এবং টেকসই খাদ্য। এরই আওতায় প্রকল্পটি খামারিদের এবং বেসরকারিখাতের জন্য মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য একটি বাণিজ্যিকভাবে কার্যকরী উপায় নিয়ে আসছে, যা কার্বন-নিরপেক্ষ হবে।

এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।