রিহ্যাব
পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় নতুন ফ্ল্যাটের সমান হওয়া অযৌক্তিক
পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় নতুন ফ্ল্যাটের সমান হওয়া অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
সংগঠনটির মতে, পুরোনো ফ্ল্যাট বিক্রির সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল নয়। এক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেটে পাঁচ বছরের পুরোনো ফ্ল্যাট ৪ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় সংক্রান্ত নিয়ম চালু হলে একদিক যেমন স্বল্পবিত্তরা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন তেমনি অনেক নাগরিকের কর্মসংস্থান হবে।
রোববার (৯ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫' সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি লায়ন এম এ আউয়াল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক।
রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যেসব নাগরিকের সামর্থ্য কম তারা ঝোঁকেন পুরোনো ফ্ল্যাটের দিকে। কিন্তু এই পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় নতুন ফ্ল্যাটের সমান। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেকে ফ্ল্যাট কিনতে পারেন না। ফলে পুরোনো ফ্ল্যাট বিক্রির সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল হচ্ছে না। সেকেন্ডারি মার্কেটে পাঁচ বছরের পুরোনো ফ্ল্যাট ৪ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় সংক্রান্ত নিয়ম চালু করা হলে স্বল্পবিত্তরা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন
- বাড়তি করের চাপে আবাসন খাত
- বস্তিবাসী-নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্মাণ হবে ৪ হাজার ফ্ল্যাট
- ব্যাংকে টাকা আনতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী
লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সব নাগরিকের সামর্থ্য একরকম নয়। শহরের নাগরিকদের স্বপ্ন থাকে একটা ফ্ল্যাটের। সময়ের সঙ্গে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়। তিন দশকে রিহ্যাব মেম্বাররা প্রায় ছয় লাখের মতো ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছেন। চাহিদার কারণে অনেক ফ্ল্যাট মালিক পুরোনো ফ্ল্যাট বিক্রি করে নতুন ফ্ল্যাট কিনতে চান, কেউ বা সেটা অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে চান।
এক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল হলে, দেশের অর্থনীতিও গতিশীল হবে। প্রথমবার একটা ফ্ল্যাট কেনার পর দ্বিতীয়বার বিক্রি করলে নামমাত্র খরচে সেই ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন হওয়ার নিয়ম বিভিন্ন দেশে চালু আছে। এভাবে সম্পদ হস্তান্তর সহজ হলে মানুষ এখাতে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী হবে। সম্পদ অর্থাৎ ফ্ল্যাট যত হাত ঘুরবে সরকার তত রাজস্ব পাবে। সেকেন্ডারি মার্কেট সৃষ্টির সে সুবিধা বাজেটে রাখা হয়নি। বাজেট চুড়ান্তভাবে পাস করার আগে এই সুবিধা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ইএআর/এসআইটি/এমএস