মির্জ্জা আজিজুল

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ কেয়ামত পর্যন্তও শোধ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ০৮ জুন ২০২৪
ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে যে ঋণ নিচ্ছে তা কেয়ামত পর্যন্ত শোধ করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ক্রমাগত লোকসানে থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ ২০ বছর ধরে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা বাড়াতে হবে, তাদের লাভজনক করতে হবে। লাভজনক হলে সেই লাভ থেকে ঋণ শোধ করতে হবে। আর যদি কন্টিনিউয়াস লস হয়, তারা কীভাবে পরিশোধ করবে?

শনিবার (৮ জুন) সকালে এফডিসিতে ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ছায়া সংসদ’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গত এক বছরে ৪২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে যেসব করপোরেশন আছে, যেমন স্টিল ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশ, সুগার করপোরেশন, কেমিক্যাল করপোরেশন। এসব করপোরেশন সরকারের কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা ধার নিয়েছে। যেহেতু এসব করপোরেশন অদক্ষ, তাদের প্রাইসিং ঠিক নেই, উৎপাদনের ক্ষেত্রে নানান রকমের সমস্যা আছে, সে কারণে এসব প্রতিষ্ঠান লসের সম্মুখীন হচ্ছে। সেই লসটা সরকারের কাছ থেকে তথাকথিত ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হয়। এই ঋণের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। কেয়ামত পর্যন্ত এই ঋণ পরিশোধ করার কোনো সম্ভবনা দেখছি না।

মির্জ্জা আজিজুল, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ কেয়ামত পর্যন্তও শোধ হবে না

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ও বিপক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।

এসএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।