ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা পুনর্বিবেচনা চায় এফবিসিসিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ০৮ জুন ২০২৪
ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের সীমা আমরা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্তাবটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করছি।’
শনিবার (৮ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদসহ এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন
- মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই
- বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে সরকারের ঋণ
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর (এটি) ব্যবসায়িক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এআইটি এবং এটি বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। অগ্রিম আয়কর যথাযথ সমন্বয় বা রিফান্ড না হওয়ায় পরিচালন ব্যয় বাড়ে এবং চলতি মূলধনে প্রভাব পড়ে। অগ্রিম আয়কর এবং অগ্রিম কর বিলুপ্ত করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অগ্রিম আয়কর এবং সব রপ্তানির ওপর আরোপিত উৎসে কর কর্তনের হার এক শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে এ বিষয়ে কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রপ্তানির বাজার ধরে রাখতে প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মণসামগ্রী আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে। এতে এসব বিশেষ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।’
ইএআর/কেএসআর/এএসএম