পুঁজিবাজারের সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে কি, প্রশ্ন এনবিআর চেয়ারম্যানের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ০৭ জুন ২০২৪
তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট করহার দীর্ঘদিন কমিয়ে রাখা হলেও পুঁজিবাজার ফুলেফেঁপে খুব বেশি ভালো অবস্থায় ছিল কি না, সেই প্রশ্ন রেখে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের (পুঁজিবাজার) সমস্যা আসলেই কি চিহ্নিত করা হয়েছে?
তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য ইফেক্টিভ টুলস অনলি- ডিউটি রেট কমিয়ে রাখা। এটা দীর্ঘদিন কমিয়ে রাখা হয়েছিল। তাতে ক্যাপিটাল মার্কেট ফুলেফেঁপে খুব বেশি ভালো অবস্থায় কি ছিল? আগে অনেক বেশি কর সুবিধা দেওয়া ছিল, তার রেজাল্ট কি আমরা খুব বেশি ভালো দেখতে পেয়েছি ক্যাপিটাল মার্কেটে? নাকি ক্যাপিটাল মার্কেটের সমস্যা অন্য কোথাও রয়েছে? ক্যাপিটাল মার্কেটের সমস্যা আসলেই কি চিহ্নিত করা হয়েছে?
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সব সময় মনে করছেন যে, শুধু বুঝি কর ছাড়ই ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রো (ভালো) করার জন্য একটি ভালো জায়গা। ক্যাপিটাল মার্কেটে কর ছাড়ের এই চর্চা দীর্ঘ সময় ছিল। এখন যেটি হয়েছে, আমাকে রেভিনিউ জেনারেট করতে হবে। কর ছাড়ের যে জায়গাটি রয়েছে, সেটা ধীরে ধীরে আমাদের কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার মধ্যে আছে। অনেকেই নিজ খরচে পদ্মা সেতু করার কথা বলেছেন। আমরা অরও পদ্মা সেতু করতে চাই। সেটার জন্য আমাদের রেভিনিউ জেনারেট (রাজস্ব আহরণ) করতে হবে। সেটারই একটি প্রক্রিয়া হলো কর ছাড়ের জায়গাটা কমিয়ে আনা।
তিনি বলেন, এখানে ৫ শতাংশ যে ব্যবধান দেওয়া হয়েছে, এর ফলে কর্পোরেট ট্যাক্স ২০ শতাংশ রয়েছে। ২০ শতাংশের নিচে যদি কর্পোরেট ট্যক্স করা হয়, তাহলে আমাদের রেভিনিউ জেনারেট করবে না। ১৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স করার পর্যায়ে আমাদের দেশ এখনো আসেনি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত এ দুই ধরনের কোম্পানির কর কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এটা করা হলে এনবিআরের রেভিনিউ কালেকশনের (রাজস্ব আদায়) ওপর বিরাট হুমকি হয়ে যাবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে যে কিছুই নাই এটা ঠিক না। বাজেট বক্তৃতায় যে সব কথা বলা থাকবে এমনটি নয়। তারপরেও আমরা বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে গ্রিন বন্ড ফাইন্যান্সিং নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘমেয়াদে বন্ড মার্কেট নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। এ জন্য বাজেটে গ্রিন বন্ডকে হাইলাইট করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী; স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এমএএস/এমএইচআর/এএসএম