সংকটকালে সাদামাটা বাজেট, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: সিপিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ০৭ জুন ২০২৪
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটকে খুবই ‘সাদামাটা’ বলে উল্লেখ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডি বলছে, বর্তমানে প্রকট অর্থনৈতিক সংকটকাল পার করছে বাংলাদেশ। অস্বাভাবিক এ পরিস্থিতিতে খুবই সাধারণ একটি বাজেট দেওয়া হয়েছে। এটি অন্য ৮-১০টি বাজেটের মতোই, যা দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, সংকটের এ সময়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে, সংকট মোকাবিলা করা প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে তিনটি বিষয়ে বাজেটে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো। জনগণকে; বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের, যাদের আয় ধরাবাঁধা, তাদের জীবনে স্বস্তি ফেরাতে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি ছিল। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ও বিভিন্ন ধরনের কর সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে এটা করা যেতো। সেখানে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, বাজেট কোন সময় দেওয়া হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতিতে এখন যেসব সমস্যা আছে। প্রথমত সেগুলো মেনে নিয়ে তার গভীরতা বুঝতে হবে। এরপর সমাধানের দিকে যেতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তেমন কোনো ঘোষণা দেখা যায়নি। একদিকে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সেই সঙ্গে রিজার্ভ সংকট। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখছি না।
রিজার্ভ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেই
প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ যে সংকটে, সেটা কাটিয়ে উঠতে সুস্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও উল্লেখ করেন ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, এ বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। শুধুমাত্র কিছু লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেখানে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি।
সিপিডির এ নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার জন্যও বাজেটে দিকনির্দেশনা নেই। বরং সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন চলকগুলোর ক্ষেত্রে একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা দেখানোর প্রচেষ্টা চলেছে, যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এএএইচ/জেডএইচ/এমএস