শিল্পে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে খরচ বাড়বে
![শিল্পে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে খরচ বাড়বে](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/ss-20240607090049.jpg)
আমদানি শুল্ক দ্বিগুণের (১০ শতাংশ) প্রস্তাব করায় প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং বা প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং তৈরিতে খরচ আরও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শিল্পের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবে খ্যাত প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ফ্যাক্টরি বর্তমানে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং দিয়ে নির্মিত। এর কাঁচামালের ৯৫ শতাংশই চীন থেকে আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন
- যোগাযোগ অবকাঠামোতে বরাদ্দ কমেছে ৪৬৯৩ কোটি টাকা
- নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। এ প্রস্তাবকে যৌক্তিক করতে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিংয়ে ব্যবহৃত পণ্যের ওপরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। এছাড়া ইটের দামও বাড়ছে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাবে বলেন, যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত তৈরি সাধারণ ইটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুনিদির্ষ্ট করের পরিমান ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা, (নন-রিফ্রেকটরী বিল্ডিং ব্রিকস), ফ্রেসিং এ ব্যবহৃত ইট ব্যতীত ইটের ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ৫০০টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকার প্রস্তাব করছি। যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি ইট প্রথম গ্রেডের (তিন ছিদ্র বিশিষ্ট, দশ ছিদ্র, সতের ছিদ্র ও মালটি কোরড ইট) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুনিদির্ষ্ট করের পরিমাণ ৭০০ টাকার পরিবর্তে প্রতি হাজারে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। এছাড়া ব্রিকস চিপসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান করের পরিমাণ ৭০০ টাকার পরিবর্তে (প্রতি ১০০ সিএফটি) ৮০০ টাকা, মিকাড ব্যাটসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুনিদিষ্ট করের পরিমাণ ৫০০ টাকার (প্রতি ১০০ সিএফটি) পরিবর্তে ৬০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া ট্যুর অডপারেটর সেবার ওপর বিদ্যমান মুসক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
ইএআর/এসআইটি/জিকেএস