পর্যটনকে এগিয়ে নিতে বিশেষ পরিকল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪
পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনখাতের অবদান ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে সরকার পঁচিশ বছর মেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। মহাপরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পর্যটনখাতকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।
‘দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও দেশি-বিদেশি জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে দেশে ইকো-ট্যুরিজম, হেরিটেজ ট্যুরিজম এবং বিজনেস ও মাইস (এমআইসিই) ট্যুরিজম বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব ট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর, নিঝুম দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলায ও পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহারে পর্যটক সুবিধা এবং পদ্মা ব্রিজের মাওয়া প্রান্তে ট্যুরিজম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে এসব এলাকায় পর্যটক আকর্ষণে ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিএমও) গঠন করা হচ্ছে। তাছাড়া টেকসই ট্যুরিজম শিল্প বিকাশে ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িত সব ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধনের পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি।
পর্যটনখাতকে সমৃদ্ধ করতে চট্টগ্রামের পারকি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের রংপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধাদি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এমএমএ/এএসএ/এমএস