বিদেশি কাজুবাদাম খেতে বাড়ছে খরচ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪
দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এখন কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। গড়ে উঠেছে প্রক্রিয়াকরণ কারখানাও। দেশি কাজুবাদামের বাজার প্রসারের চিন্তা মাথায় রেখে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পণ্যটি আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, দেশের উদ্যোক্তাদের সুরক্ষার জন্য কাজুবাদাম আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক।
দেশে কাজুবাদামের চাহিদা ২০ থেকে ২৫ হাজার টন। যেখানে গত অর্থবছরে দেশে কাজুবাদামের উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টন। দেশে বর্তমানে কাজুবাদামের প্রায় ৫ হাজার বাগান রয়েছে।
সরকার কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’ নিয়েছে। এ প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদেশি কাজুবাদামের দাম বাড়লে দেশি চাষাবাদে আগ্রহ বাড়বে। বাজেটে ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
দেশে বর্তমানে কাজুবাদামের ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ বেসরকারিভাবে এসব কারখানা স্থাপিত হয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের ফলে দেশে উৎপাদিত কাজুবাদামের বিপণন সহজ হচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়েও দেশি কাজুবাদামের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দেশে এখন কাজুবাদামের বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার।
বিএসআরএম ও কাজী গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানির উদ্দেশ্যে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করছে।
এনএইচ/এএসএ/এমএস