এসি-ফ্রিজের দাম বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এছাড়া এসি ও ফ্রিজ উৎপাদনে ব্যবহৃত পণ্যে আমদানি শুল্কে রেয়াতি হার প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব ও সুপারিশ পাস হলে এসি ও ফ্রিজের দাম বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে শূন্য শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক আরোপপূর্বক ওই পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূসক (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অব্যাহতি সুবিধা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণ এবং কম্প্রেসার উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি।

বাজেট বক্তব্যে বলা হয়, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের পরিমাণ ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আরোপপূর্বক ওই পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূসক (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসার আমদানি করতে পারে। এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় কম্প্রেসরের রেয়াতি হার প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসার উৎপাদন হয় বিধায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর শিল্পে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি হার প্রত্যাহারের সুপারিশ করছি।

বাজেট বক্তব্যে বলা হয়, রাজস্ব প্রদানে সক্ষমতা বিবেচনার স্বার্থে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত বিভিন্ন প্রকার স্টিল শিটের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে যে সব পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে, সেসব পণ্যসমূহের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।

যথাযথ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করার প্রস্তাব করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই লাখ বিটিইউয়ের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য। উক্ত সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ বিটিইউয়ের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা যেতে পারে।

এমএমএআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।