পর্দা নামলো আজ
এসএমই মেলায় ২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ, বিক্রি ১৩ কোটি
১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলায় প্রায় ১৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মেলায় ২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ এসেছে।
শনিবার (২৫ মে) মেলা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গত রোববার (১৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সাত দিনব্যাপী এসএমই মেলা শুরু হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা শেষ হচ্ছে আজ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করেন।
এবারের মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা। এসএমই মেলায় শতভাগ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশ নেয়।
এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্তশিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্যের ৩২টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের ২৭টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। একই সঙ্গে ২৩টি হালকা প্রকৌশল পণ্যের, ১৪টি খাদ্যপণ্যের, ১৩টি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক (আইটি) পরিষেবা, পাঁচটি ভেষজ শিল্পপণ্যের ও পাঁচটি গহনাপণ্যের প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানের ১২টি এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা মেলায় অংশ নেন।
অন্যান্য খাতের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের চারটি, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, আসবাব খাতের তিনটি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল ছিল মেলায়। এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব ও প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করে।
অন্যদিকে গত ১০টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় দুই হাজার ৩৩০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রায় ৪৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় এবং প্রায় ৭২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অর্ডার গ্রহণ করেন। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারাদেশের ৫০টি জেলায় ৮৬টি আঞ্চলিক-বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলায় অংশগ্রহণ করেন চার হাজার ৭২জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।
এনএইচ/ইএ/জেআইএম