হয়রানির অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতে সানবিসের মালিক তনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩২ এএম, ২৩ মে ২০২৪

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে আইনি নোটিশ দেওয়ার পর এবার উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। মঙ্গলবার (২১) মে প্রথমে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। পরে উচ্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

আবেদনে ‘সানবিস বাই তনি’ স্বত্বাধিকারী রোবাইয়াত ফাতিমা তনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন। আইন মেনে জরিমানা দেওয়ার পরও তার শোরুম খুলে না দেওয়া এবং তদন্ত কমিটি গঠনকে ‘হয়রানি’ উল্লেখ করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিলের গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় সানবিস বাই তনির প্রধান শোরুমে ১২ মে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। ওইদিন তার শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং অভিযোগের শুনানির জন্য পরের দিন তনিকে অধিদপ্তরের হাজির হতে বলা হয়। ১৩ মে তনি অধিদপ্তরে গেলে শুনানি করে তাকে দুই দফায় ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সানবিসের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

রোবাইয়াত ফাতিমা তনির অভিযোগ, তিনি নিয়ম মেনে জরিমানার টাকা দিলে বন্ধ শোরুম খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। শুনানি করে জরিমানা আদায়ের পরও শো-রুম খুলে না দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে গেছেন বলে জানিয়েছেন তনি।

তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন জাগো নিউজকে বলেন, শুনানি করে জরিমানা আদায়ের পরও শো-রুম খুলে না দেওয়ায় এবং শুনানির প্রক্রিয়ায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। কারণ ভোক্তা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি করেছে। অথচ তদন্তের আগে তাকে শাস্তি দেওয়া হলো কীভাবে? এজন্য আমরা প্রথমে ভোক্তা অধিকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা তাতে সাড়া না দেওয়ায় রিট আবেদন করেছি। একজন নারী উদ্যোক্তাকে এমন হয়রানি করার প্রতিকার আমরা উচ্চ আদালতে পাবো বলে আশা করছি।

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি সবই আইন মেনেই নিয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ নিয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে।

এএএইচ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।