রক্ত পানি করা টাকা চুষে খাচ্ছে বিমা কোম্পানি

সাঈদ শিপন
সাঈদ শিপন সাঈদ শিপন , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ০৫ মে ২০২৪
জাগো নিউজ গ্রাফিক্স

হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আয় করা অর্থ দিয়ে একটি জীবন বিমা কোম্পানিতে বিমা পলিসি কেনেন ভ্যানচালক মো. জুয়েল হোসেন। মাসিক ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিমা পলিসিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জমানো টাকা পেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। বিমার টাকা পেতে মাসের পর মাস ধরনা দেন বিভিন্ন মহলে। দীর্ঘদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে এক পর্যায়ে হাতে পান বিমার টাকা। তবে নিয়মিত বিমা পলিসির টাকা জমা না দেওয়ার কারণে এ গ্রাহক মেয়াদ শেষে পেয়েছেন মাত্র দুই হাজার ৫৩২ টাকা। সামান্য এ টাকা তুলতেই তাকে প্রায় দুই বছর ধরনা দিতে হয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করা টাকা অল্প অল্প করে জমিয়ে বিমা করি। হাতে টাকা না থাকায় বিমা প্রিমিয়ামের টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করিনি। যে টাকা জমা দিয়েছিলাম, সেটা ফেরত পেতে যার মাধ্যমে বিমা করি তার পেছনে প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছিল না। বিভিন্ন মাধ্যমে কোম্পানিতে যোগাযোগ করার পর সম্প্রতি দুই হাজার ৫৩২ টাকার চেক পেয়েছি। অথচ আমি বিমা কোম্পানিতে এর চেয়ে বেশি টাকা জমা দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে গিয়ে আরও এক-দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

জুয়েলের মতোই বিমার টাকা পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হন একই এলাকার রাজমিস্ত্রির কাজ করা মো. আলমগীর হোসেন। এ বিমা গ্রাহকও মাসিক ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিমা পলিসি কেনেন। প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন মহলে ধরনা দেওয়ার পর তিনি সম্প্রতি বিমা কোম্পানি থেকে ১২ হাজার টাকার চেক পান।

বিমা কোম্পানির লোকদের পেছনে মাসের পর মাস ঘুরেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এক পর্যায়ে ঢাকায় থাকা এলাকার একজন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি কোম্পানিতে কয়েক দফা কথা বলার পর বিমার টাকা ফেরত পেয়েছি। আমাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকা বিমা কোম্পানিগুলো চুষে খাচ্ছে।– ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন

আলমগীর হোসেন বলেন, রক্ত পানি করে আয় করা টাকা দিয়ে কোম্পানিতে বিমা করি। কোম্পানির এজেন্ট পলিসি বিক্রির সময় খুব ভালো ভালো কথা বলে। মেয়াদ শেষে দ্বিগুণ টাকা পাওয়া যাবে, এমন আশার বাণীও শোনায়। কিন্তু বাস্তব চিত্র খুব কঠিন। মেয়াদ শেষে বিমার টাকা ফেরত পেতে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, বিমা কোম্পানির লোকদের পেছনে মাসের পর মাস ঘুরেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এক পর্যায়ে ঢাকায় থাকা এলাকার একজন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি কোম্পানিতে কয়েক দফা কথা বলার পর বিমার টাকা ফেরত পেয়েছি। আমি টাকা পেলেও আমার এলাকার অনেকে মেয়াদ শেষেও টাকা পাচ্ছেন না। আমাদের হাড়াভাঙা পরিশ্রমের টাকা বিমা কোম্পানিগুলো চুষে খাচ্ছে। একসময় আমাদের এলাকার অনেকে বিমা করেছেন। এখন আর কেউ বিমা করতে চাচ্ছেন না।

জুয়েল কিংবা আলমগীর নানা কাঠখড় পুড়িয়ে বিমার টাকা পেলেও মাসের পর মাস ধরনা দিয়েও বিমা দাবির টাকা আদায় করতে পারেননি প্রবাসী ফয়সাল খান। বাংলাদেশে থাকাকালীন ফয়সাল তার মায়ের নামে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে বিমা পলিসি কেনেন। প্রায় দুই বছর আগে বিমা পলিসিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।

আমেরিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক ফেসবুক পোস্টে ফয়সাল খান লিখেছেন, ‘ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ হাইওয়েতে পেছন থেকে এসে মেরে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস চলে এসে রিপোর্ট দিয়ে দেয়। বাঁ হাতে ও ঘাড়ে একটু ব্যথা পেয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ এখন সুস্থ। যে গাড়ি আমাকে আঘাত করে সেই গাড়ির ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে ক্লেম করার তিনদিনের মাথায় (মাঝখানে শনি ও রোববার ছিল) আমার যাতায়াতের জন্য একটা গাড়ি ভাড়া করে দেয়।’

‘এর মধ্যে ওরা আমার গাড়িটি নিয়ে যায় এবং মেরামতের একটা এস্টিমেট করে দেখে এই গাড়ির বাজারমূল্যের চেয়ে মেরামতের খরচ বেশি। দুর্ঘটনার পর সব মিলিয়ে ২৭ দিনের মাথায় তারা আমার গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। আর ওদিকে আমার মায়ের জীবন বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অফিসে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে আজ ১৮ মাসের বেশি (পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স)। কিন্তু এখনো টাকা পাই নাই। কবে পাবো নাকি পাবো না সেটাও জানি না।’

সামগ্রিকভাবে বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার ৪০ শতাংশের মতো। আমরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই বিমা কোম্পানিগুলো শতভাগ দাবি পরিশোধ করুক। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।- আইডিআরএর মুখপাত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম

ফয়সাল খান ফেসবুকে এ পোস্ট দেওয়ার পর আরও প্রায় তিন মাস চলে গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও এখনো তিনি বিমার টাকা পাননি। তার মতো বিমার টাকা পাচ্ছেন না আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ থেকে বিমা পলিসি নেওয়া এ গ্রাহক কয়েক মাস আগে দেশে ফেরেন। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর জরুরিভিত্তিতে বিমা দাবির টাকা চেয়ে কোম্পানিতে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু এখনো টাকা পাননি।

শুধু ফয়সাল খান বা হারুন-অর-রশিদ না, হাজার হাজার গ্রাহক তাদের কষ্টের টাকা বছরের পর বছর ধরে বিমা কোম্পানিতে জমা রাখার পর মেয়াদ শেষে আর সেই টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। বিমা গ্রাহকরা যে দাবির টাকা ঠিকমতো পাচ্ছেন না তার চিত্র উঠে এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদনেও। বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের চিত্র নিয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে আইডিআরএ। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশে ব্যবসা করা বেসরকারি খাতের জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো মাত্র ৩৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। তার মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার ৪০ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিপরীতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমা প্রতিষ্ঠানে দাবি পরিশোধের হার ৪৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর মধ্যে জীবন বিমা করপোরেশনের দাবি পরিশোধের হার ৬২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর সাধারণ বিমা করপোরেশনের দাবি পরিশোধের হার ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন

চলতি বছরের মার্চ শেষে উদ্বৃত্ত ও নতুন মিলে বিমা কোম্পানিগুলোতে মোট উত্থাপন হওয়া বিমা দাবির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬০১ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৮৩৯ টাকা। এর মধ্যে কোম্পানিগুলো ৭ হাজার ৬৯৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০ টাকার দাবি পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ, বিমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ১৩ হাজার ৯০২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৯ টাকার দাবি পরিশোধ করেনি। এ দাবি পরিশোধ না করার হার ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এ প্রতিবেদন থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কোম্পানিগুলো গ্রাহকের সিংহভাগ বিমা দাবি পরিশোধ করছে না। অথচ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমা কোম্পানিতে দাবি পরিশোধের হার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ হওয়া উচিত। দাবি পরিশোধের হার এর কম হলে, তা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। গ্রাহকরা বিমা দাবির টাকা না পেলে এ খাত মানুষের আস্থা হারাবে। এরই মধ্যে বিমার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে বিমা কোম্পানিগুলোর পক্ষে গ্রাহক পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আইডিআরএ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, উদ্বৃত্ত ও নতুন দাবি মিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সাধারণ বিমা করপোরেশনে মোট দাবি উত্থাপিত হয় ৭৭৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ টাকা। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ২৩৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ৪২৫ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ দাবি পরিশোধের হার মাত্র ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান জীবন বিমা করপোরেশন গ্রাহকদের ৬৭০ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ২১৬ টাকা দাবির বিপরীতে ৪১৯ কোটি ৪০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ কোম্পানিটির দাবি পরিশোধের হার ৬২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠানে উদ্বৃত্ত ও নতুন মিলে মোট দাবি উত্থাপিত হয় এক হাজার ৪৪৪ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার ১৫৯ টাকা। বিপরীতে দাবি পরিশোধ করা হয় ৬৫৮ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮০৮ টাকা। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানে ৫৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ দাবি বকেয়া পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারি জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোতে উদ্বৃত্ত ও নতুন মিলে ২০ হাজার ১৫৬ কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮০ টাকার বিমা দাবি উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার ৪০ কোটি ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ২৪২ টাকা। অর্থাৎ, বিমা দাবি বকেয়া রয়েছে ১৩ হাজার ১১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৮ টাকা। এ হিসাবে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ বিমা দাবি পরিশোধ করেনি বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলো।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ১৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭০ লাখ ৭৫ হাজার ২২২ টাকা দাবির বিপরীতে ৬ হাজার ২৫৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ১১৭ টাকা পরিশোধ করেছে। দাবি পরিশোধের হার ৪০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিপরীতে ৯ হাজার ২০৬ কোটি ৪১ লাখ ৩ হাজার ১০৬ টাকা বা ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিমা দাবির টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করেনি বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলো।

অন্যদিকে বেসরকারি সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ৪ হাজার ৬৯৪ কোটি ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৭ টাকা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে মাত্র ৭৮৪ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার ১২৫ টাকা। অর্থাৎ, গ্রাহকদের পাওনা ৩ হাজার ৯০৯ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এ দাবি পরিশোধ না করার হার ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

অর্থাৎ, জীবন বিমা কোম্পানিগুলো যে হারে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করেছে, সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো সেই হারে দাবি পরিশোধ করতে পারেনি। আবার প্রতিবেদনে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার কিছুটা বেশি হলেও সার্বিক বিবেচনায় তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র দায়িত্বশীলরাও দাবি পরিশোধের এ হারে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

এ বিষয়ে আইডিআরএর মুখপাত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, সামগ্রিকভাবে বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার ৪০ শতাংশের মতো। আমরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই বিমা কোম্পানিগুলো শতভাগ দাবি পরিশোধ করুক। এ লক্ষ্যে কাজ করছি।

বিমা কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের হার ৪০-৪৫ শতাংশ হওয়া সন্তোষজনক কি না এমন প্রশ্ন রাখা হয় প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জালালুল আজিমের কাছে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, না। দাবি পরিশোধের হার ৮০ শতাংশের ওপরে থাকা উচিত।

তিনি বলেন, আমার যতটুকু জানা বড় একটা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এদের দাবি পরিশোধের হার এখন প্রায় শূন্য। আরও বড় এ ধরনের কিছু কোম্পানি আছে, তাদের দাবি পরিশোধের হার যদি কমে যায়, তাহলে সেটা গোটা বিমা খাতকে ধাক্কা দেবে। হয়েছেও তা-ই। এখন বেশ কিছু কোম্পানি গ্রাহকদের দাবির টাকা দিতে পারছে না। এজন্য পুরো বিমা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।