রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই। বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এ সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান মঙ্গলবার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে আরও আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরও বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আইবাস ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বাজেট পাশ হলেও, বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে। আজকের আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআইর সভাপতি কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআইর সভাপতি আশরাফ আহমেদ প্রমুখ।
এমএএস/এমআইএইচএস/জেআইএম