রংকে অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনার দাবি
রং ও রং জাতীয় পণ্যকে অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে আরোপিত ৫ শতাংশ সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বিপিএমএ)।
এছাড়া আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাসকরণে কাস্টমস ডিউটি নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নসহ আরও কিছু দাবি এ সংঠনের।
বুধবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিপিএমএ'র এক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রতিনিধিদল রং ও রং জাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার কথা মন্ত্রীর নিকট তুলে ধরেন।
এ সময় মন্ত্রী তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং যথাসাধ্য সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি এ শিল্পের উন্নয়নে পেইন্ট প্রতিনিধিদলকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
বিপিএমএ’র পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ও নিপ্পন পেইন্টের হেড অভ প্ল্যান্ট অপারেশন অরুণ মিত্র মন্ত্রীকে জানান, রং ও রং জাতীয় পণ্যের শিল্প উন্নয়ন ও বাস্তব প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ পণ্যের বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
অরুণ মিত্র শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও কিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো, লেড মুক্ত রং উৎপাদনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে লেড সমৃদ্ধ কাঁচামালে উচ্চ হারে শুল্ক প্রয়োগ ও লেড মুক্ত কাঁচামাল শুল্ক মুক্ত করে আমদানির সুযোগ প্রদান, রং ও রং জাতীয় পণ্য উৎপাদনে গুণাগুণ ও মান সঠিক রাখার জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট পেস্টিসাইড স্থানীয় বাজারে সহজে প্রাপ্যতার ব্যবস্থাকরণ, বাজারজাতকরণের শুল্ক মুক্ত খরচ মোট বিক্রয়ের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে তিন শতাংশে উন্নীতকরণ, শুল্কায়নের সহজ নীতি প্রণয়ন, বিদেশি রং ও রং জাতীয় পণ্য আমদানিতে সঠিক নীতি প্রণয়ন, পেইন্টস প্রস্তুতকারক শিল্পের জন্য ঢাকার নিকটবর্তী অঞ্চলে নির্দিষ্ট রাসায়নিক শিল্প এলাকা স্থাপন করা।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, বিপিএমএ’র প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহ যৌক্তিক। তিনি বিসিকের মাধ্যমে এ শিল্পের জন্য পৃথক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে একটি যথাযথ প্রস্তাবসহ আবদনের জন্য প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ করেন। তাছাড়া বিপিএমএ’র সুপারিশ বা দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে মতামত দেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিএমএ’র সহ-সভাপতি ও অ্যাংকর পেইন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান, বিপিএমএ’র সদস্য ও বার্জার পেইন্টের চিফ বিজনেস অফিসার এ কে এ সাদেক নেওয়াজ, বিপিএমএ’র সদস্য ও কানসাই নেরোলাক পেইন্টের সিইও ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী, বিপিএমএ’র সদস্য ও এলিট পেইন্টের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. ওমর ফারুক ও বিপিএমএ’র সদস্য ও ইম্পেরিয়াল পেইন্টের জেনারেল ম্যানেজার পিনাকী মোহন সাহা।
এনএইচ/এমএসএম