মেয়াদ বাড়ছে না ৩৩০ প্রকল্পের, শেষ করতে হবে জুনের মধ্যে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে ৩৩০ প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প কোনোভাবেই নতুন অর্থবছরে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প থাকছে এক হাজার ৫৮৮টি। যদিও মূল এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩৪০টি।

সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ প্রকল্পের মধ্যে বিনিয়োগ এক হাজার ৩৪৫টি, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ৩৬টি, কারিগরি সহায়তা ১১৫টি এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৯২টি প্রকল্প রয়েছে। সংশোধিত এডিপিতে বৃদ্ধি পাওয়া প্রকল্পগুলোর অধিকাংশই শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে ‘সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত’ তালিকাভুক্ত কোনো প্রকল্প ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা যাবে না। ফলে যেসব প্রকল্প শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত সেগুলোর কাজ শেষ করতেই হবে। পাশাপাশি আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পের সরকারি ও বৈদেশিক তহবিল (ম্যাচিং ফান্ড) নিশ্চিত করতে হবে। সংশোধিত অননুমোদিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে সর্বশেষ অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় উল্লেখ করার পাশাপাশি সর্বশেষ অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় অনুযায়ী নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে হবে।

কমিশন আরও জানায়, মূলধন, রাজস্ব সিডি/ভ্যাট, অন্যান্য (নগদ বৈদেশিক মুদ্রা) খাতে সর্বশেষ অনুমোদিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংস্থানের ভিত্তিতে প্রাপ্যতা অনুসারে সঠিকভাবে বরাদ্দ নির্ধারণ করতে হবে। প্রকল্পের সংশোধন, মেয়াদ বৃদ্ধিসহ সংশোধন অথবা শুধুমাত্র মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় এবং মেয়াদ পরিবর্তন হলে তা হতে হবে আইন মেনে।

এছাড়া চলতি উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় স্থানীয় মুদ্রার বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। নতুন প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ন্যূনতম ৫ শতাংশ অর্থের সংস্থান রাখতে হবে।

এমওএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।