ঈদের আমেজ ব্যাংকপাড়ায়
ঈদুল ফিতরের টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রথম কর্মদিবস। আজ ঈদের আমেজেই আছে ব্যাংকগুলো। শাখায় শাখায় চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মব্যস্ততা এখনো অনুপস্থিত। ঈদের পরে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রথম দেখা। তাই গল্পগুজবেই দিন পার করছেন অনেকে।
প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় অনেককেই কুশল বিনিময় করতে অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার ছুটি শেষে এখনো কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। মতিঝিলের অফিসপাড়া, পল্টন, ফকিরাপুল, গুলিস্তান এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হয়নি ব্যাংকগুলোয়। সবগুলো ব্যাংকে হাতেগোনা গ্রাহক লেনদেন করতে এসেছেন। ঈদের আগে উত্তোলন বেশি হলেও এদিন যে কয়জন আসছেন, তাদের বেশিরভাগই টাকা জমা দিতে এসেছেন। দু-একটি বড় লেনদেন ছাড়া সঞ্চয়কারীদের জমা বেশি হচ্ছে এদিন।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের ছুটির পর গ্রাহকের উপস্থিতি কিছুটা কম। সোনালী ব্যাংকে গ্রাহক সব সময় একটু বেশি থাকে। তবে আগের তুলনায় আজ গ্রাহক মোটামুটি কম। পরের দিনগুলোতে বাড়বে।
ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুবুল বলেন, ঈদের ছুটির পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসেছেন। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। গ্রাহক তেমন নাই। যারা আসছেন তাদের সঙ্গেও কাজের ফাঁকে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
ব্যাংক সূত্র জানায়, ঈদের ছুটির পর আজ সোমবার থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। আর ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। বাকি সময় দাপ্তরিক কাজের জন্য খোলা থাকবে।
রমজানে ব্যাংকে লেনদেন চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এবং অন্যান্য অফিসিয়াল কার্যক্রম চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরমধ্যে দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজের জন্য বিরতি ছিল। বিরতির সময়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে লেনদেন কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি চাকুরেরা। এবারই প্রথম দীর্ঘ ছয়দিনের ছুটি পেয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এবার গণমাধ্যমকর্মীরা ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করেছেন।
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস