বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ সভায় গুরুত্ব পাবে বৈশ্বিক মন্দা গাজা ইস্যু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা এবং গাজা সংকট নিরসনে কৌশল নির্ধারণে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হবে ১৫ এপ্রিল। সপ্তাহব্যাপী এ বৈঠক চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে সংস্থা দুটির প্রধান কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বসন্তকালীন এ বৈঠকে কীভাবে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা যায়, যার মধ্যে অর্থ ও জ্ঞান বৃদ্ধির সমাধান, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা যায় এবং ভবিষ্যতের সংকটের জন্য প্রস্তুত এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বৈঠকে স্বাস্থ্য ও গাজা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির সদস্যভুক্ত দেশের অর্থমন্ত্রী এ ধরনের বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

সংস্থাটি জানায়, বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ঋণ নীতিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। কেননা, চলতি বছরে বৈশ্বিকভাবে যে ধরনের মন্দা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, সে রকম মন্দা হচ্ছে না। মন্দার প্রকোপ কিছুটা কম। এ কারণে সংস্থা দুটির ঋণ নীতিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে।

এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত নেতিবাচতক প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ নীতিতে ধীর গতির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন সংস্থাটির পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। এ কারণে তিনি এরই মধ্যে আগাম পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। জুনে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। তার মেয়াদ চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে গাজার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষতির মূল্য প্রায় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন অনুমান করা হয়েছে। এটি ২০২২ সালে পশ্চিম তীর এবং গাজার সম্মিলিত জিডিপির ৯৭ শতাংশের সমতুল্য।

ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন রিপোর্ট অক্টোবর ২০২৩ এবং জানুয়ারি ২০২৪ সালের শেষের মধ্যে করা হয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ও আবাসনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৭২ শতাংশ আবাসন ভেঙে চুরমার হয়েছে। পানি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার জন্য দায়ী ১৯ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও শিল্প ভবনগুলোর ক্ষতি ৯ শতাংশ হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেক্টরের জন্য, কিছু সম্পদ অক্ষত থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতির হার কমছে বলে মনে হচ্ছে। ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে আনুমানিক ২৬ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ এবং ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট রয়েছে, যা অপসারণ করতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে অনুমান করা হয়।

এমওএস/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।