‘এই ব্যাংক ডাকাতি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

‘একাধিক ব্যাংকে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটলো, তাতে অবশ্যই বিচলিত হওয়ার মতো কারণ আছে বলে মনে করি। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।’

বলছিলেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় পরপর দুদিন একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রশ্নে নজর তীক্ষ্ণ করার দাবি জানিয়ে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘ব্যাংকগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দিয়ে তো আসলে সার্বিক বিষয় মূল্যায়ন করা সম্ভব না। তবে আমি মনে করি, রিমোট এলাকাগুলোতে আরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তো সব সময় ঝুঁকির মধ্যেই থাকে। কিন্তু এই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না।

গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। লেনদেন করা নিয়ে গ্রাহকের কিছুটা সমস্যা হতেই পারে। তবে সেটা সাময়িক। সরকার তো পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূলত নিরাপত্তা নিয়ে কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যার আলোকেই সমাধানের পথ বেরোয়। এখানেও সমাধান মিলবে। মানুষ চিন্তামুক্ত থাকুক।

প্রথম ঘটনা যেদিন ঘটে সেদিন সম্ভবত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা। রাত পর্যন্ত ব্যাংকগুলো কাজ করেছে। দুষ্কৃতরা হয়তো খবর রেখেছিল ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে। যদিও রুমার ঘটনায় টাকা খোয়া যায়নি। সার্বিক অর্থে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।’

আরও পড়ুন

‘সামনে ঈদের ছুটি আছে। ছুটিতে সতর্ক থাকা হয় এমনিতেই। এবার আরও সাবধান হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করি। কারণ, পরপর কয়েকটি ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং নিচ্ছেও বটে। এরই মধ্যে ডাকাতচক্র আটক হয়েছে।’

গ্রাহক পর্যায়ের নিরাপত্তা প্রশ্ন নিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গ্যারান্টি সাধারণত রাষ্ট্রই দেয়। ঠিক এ কারণেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের রাখা আমানত নিয়ে কোনো ঝুঁকি থাকার কথা নয়। দায় রাষ্ট্রের।

গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। লেনদেন করা নিয়ে গ্রাহকের কিছুটা সমস্যা হতেই পারে। তবে সেটা সাময়িক। সরকার তো পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মূলত নিরাপত্তা নিয়ে কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যার আলোকেই সমাধানের পথ বেরোয়। এখানেও সমাধান মিলবে। মানুষ চিন্তামুক্ত থাকুক।’

এএসএস/এএসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।