বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নের পরামর্শ সিপিডির


প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

প্রাক্কলনের উপর ভিত্তি না করে সংশোধিত বাজেটকে ভিত্তি ধরে আগামী অর্থবছরে `বাস্তবায়নযোগ্য` বাজেট প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটকে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবছরই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাস্তবায়নের মধ্যে থাকে। যা আর্থিক সুশাসনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তাই প্রাক্কলনের উপর ভিত্তি না করে সংশোধিত বাজেটের উপর ভিত্তি করে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।

বাজেট কাঠামোর গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, দুস্থ বান্ধব, সংষ্কারমূলক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম এমন বাজেট প্রণয়নের প্রয়োজন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার যে আভাস দিয়েছেন তা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের যে ধারা সেই বিবেচনায় আরো বেশি হওয়া দরকার বলে মনে করছে সিপিডি। নতুন বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছে এ সংস্থাটি।

বাজেটের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকারের তথ্য অনুযায়ী ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। আর জিডিপির এই অর্জনের ৮০ শতাংশই সরকারি খাতের। প্রবৃদ্ধির এই উচ্চতর মাত্রাকে টেকসই করতে হলে গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। কারণ আমাদের একদিকে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমেছে। রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধিও কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪ বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি, যা বিভ্রান্তিকর।   

তিনি আরো বলেন, আগামীতে ভ্যাট আইনি বাস্তবায়ন করা হবে। এটিতে আমরা ভালো চোখে দেখছি। তবে এই আইন কর্যকর নিয়ে ব্যবসায়ীদের কিছু দাবি রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উচিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে তা সমাধান করা এবং ভ্যাট আইনি বাস্তবায়নে দক্ষ জনবল ও তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া।

করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট অর্থায়নে কর আহরণ প্রাধান খাত। কিন্তু ৪৩ শতাংশ মানুষ কর দিলেও বাকি ৫৭ শতাংশ করের আওতার বাইরে। এছাড়াও কর্পোরেট ট্যাক্স আহরণের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর ব্যয় বাড়ছে। অন্যদিকে, এর প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না জনগণ।

সংস্থার রিচার্জ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছাড়াও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।