ধানমন্ডির ঈদ বাজার

ক্রেতাদের নজর বিদেশি পণ্যে, জমেনি কেনাকাটা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর ধানমন্ডিতে এখনো জমেনি ঈদ বাজার

ষষ্ঠ রোজা শেষ হলো আজ। এরই মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন রাজধানী ধানমন্ডির বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। নানান ডিজাইনের দেশি-বিদেশি জামা-কাপড়ে ভরে গেছে এই এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেট। তবে এখনো জমেনি ঈদের কেনাকাটা। নতুন পোশাক কিনতে তেমন ভিড় নেই মার্কেট-শোরুমগুলোতে। ক্রেতার আশায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।

রোববার (১৭ মার্চ) ধানমন্ডির বিভিন্ন মার্কেট ও ছোট-বড় শোরুম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতাদের নজর বিদেশি পণ্যে, জমেনি কেনাকাটা

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে। আশা করছেন ১০-১৫ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রি বাড়বে। তবে এবছর সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আবার অনেক ক্রেতা আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে চান। তবে অভিজাত এলাকা হওয়ায় বিদেশি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের নজর বেশি। বিশেষ করে ভারতীয় শাড়ি, থাই সুজ ও ইউরোপের নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ধানমন্ডি এলাকার ক্রেতাদের পচ্ছন্দ।

আরও পড়ুন

মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ি-পাঞ্জাবি মূল আকর্ষণ হলেও এসব মার্কেটে ছেলেদের বাহারি ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট এবং মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, ওয়ান-পিস, টু-পিস, টপস্, কাফতান রয়েছে। এছাড়া আছে ছোটদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট, স্কার্ট, ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ, শাড়িও নজর কাড়ছে।

ধানমন্ডির রাপা প্লাজার নীলাচল শাড়ির দোকানে যেমন এক হাজার ২৫০ টাকায় দেশীয় কাতান সিল্ক মিলছে, তেমনি ভারতীয় গাদোয়াল শাড়ির দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।

ক্রেতাদের নজর বিদেশি পণ্যে, জমেনি কেনাকাটা

এই দোকানের বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেচাকেনা এখনো জমেনি। তবে ১০ থেকে ১৫ রোজার পর জমবে বলে আশা করছি। ক্রেতারা এখন ঘুরে দেখছেন। ভারতীয় শাড়ি ক্রেতাদের বেশি পছন্দ। আমাদের এখানে এক হাজার ৮৫০ থেকে তিন হাজার টাকায় মিলবে মধ্যম মানের ইতালিয়ান সিল্ক শাড়ি। সব ধরনের ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই আমরা শাড়ির কালেকশন রেখেছি।’

আরও পড়ুন

এদিকে ধানমন্ডি এলাকায় বিদেশি জুতা ক্রেতাদের অধিক পছন্দ। চায়না, মালয়েশিয়ান ও থাই জুতা ক্রেতাদের অধিক পছন্দ। এক হাজার ৫০০ টাকার চায়না জুতাসহ সাত হাজার ৫০০ টাকা দামের থাই নাগিন বুট মিলছে এই এলাকায়।

এছাড়া ধানমন্ডিতে এক হাজার টাকায় দেশি ভ্যানিটি ব্যাগ মিলছে। তবে চীন ও দুবাইয়ের ব্যাগ কিনতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। মানভেদে এক হাজার থেকে সাত হাজার টাকায় মিলছে থ্রি-পিস।

এমওএস/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।