একীভূত হলে ক্ষতি নয় বরং দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে: বিএবি
ব্যাংক একীভূত হলে কারও ক্ষতি হবে না বরং এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। গভর্নর আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে উদ্বেগ কেটে গেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, গণমাধ্যম থেকে শুনেছি ব্যাংক একীভূত হবে, এতে আমাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। এটার সুফল সম্পর্কে তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন। এখন আমাদের আতঙ্ক কেটে গেছে। আমরা এখন বুঝতে পেরেছি ব্যাংক একীভূত হলে ক্ষতি হবে না। এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে, ভালো ব্যাংক আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একীভূত রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে একীভূত বিষয়টি আমরা মেনে নেবো। সরকার চাইলে জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হবে সেটি স্পষ্ট নয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। মালিকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একীভূত হবে নাকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত দেবে জানি না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়নি।
আরও পড়ুন
• ব্যাংকের এমডি নিয়োগ: যোগ্যতা যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যায়ন কমিটি
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, একীভূত করা হবে ব্যাংক খাতের ভালোর জন্য। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ রয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করবো। তারপর করা হতে পারে।
মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকগুলো যদি এখন ভালো অবস্থানে চলে যায় তাহলে একীভূত করার প্রয়োজন হবে না। এরই মধ্যে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করার জন্য পিসিএ নীতিমালা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমরা দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে পারবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন কোন ব্যাংক একীভূত করা প্রয়োজন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যাংক একীভূত হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরা চাই মালিকরা সিদ্ধান্ত নিক এ বিষয়ে। প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।
ইএআর/ইএ/জিকেএস