স্যানিটারি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৩ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্যানিটারি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ টাইলস ডিলার্স অ্যান্ড ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি সিরামিক টাইলস আমদানি ট্যারিফ আকারভেদে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক ডলার কমানো ও একই সঙ্গে শতভাগ দোকানে ইএফডি মেশিন স্থাপনের আগে এককালীন ভ্যাট কাটার প্রস্তাব করেছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এইসব প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মো. আবু হামজা এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, একটা ছোট বাসার জন্য টাইলস কিনতে গেলে সেখানে যদি ৫ শতাংশও ভ্যাট দেওয়া লাগে, সেটা তার কাছে (ক্রেতার) বেশি মনে হয়। কারণ সে এটাতে অভ্যস্ত নয়। তখন সেই ক্রেতা চেষ্টা করে, যেখানে ভ্যাট না দেওয়া যায় সেখানে যেতে। এই সমস্যা বুঝি।

তিনি বলেন, আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) সমাধান দিলে সেটা ভ্যাটের নীতির সঙ্গে যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাটনীতির সঙ্গে যায় না এমন অনেক কিছুই রেখেছি। কিন্তু অন্যান্য সংস্থা আমাদের প্রশ্ন করেন। এজন্য আমাদের নানাভাবে চিন্তা করতে হয়।

টাইলস উৎপাদনে দেশে অনেকগুলো ইউনিট তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে চাই। এজন্য ঢালাওভাবে এমন আমদানি সুবিধা দেবো না।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা টাইলস আমদানি উৎসাহিত করতে চাই না। দেশে টাইলস উৎপাদনের চেয়ে, আমদানি করলে আমাদের শুল্ক বেশি হয়। আমদানি করে এই ইনকাম করতে চাই না। এই খাতে আমরা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চাই।

এদিন বাংলাদেশ এলপি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কসপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবনায় জানায়, শিল্পমালিকরা মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে এলপিজি স্টোরেজ ট্যাংক, এলপিজি গ্যাসাধার, ভ্যাপারাইজার, রেগুলেটর ১ শতাংশ শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে আমদানি করে থাকে।

অন্যদিকে দেশীয় উদ্যোক্তারা যদি এসব মূলধনী যন্ত্রপাতি উৎপাদন করে সেক্ষেত্রে এলপিজি, গ্যাসাধারের কাঁচামাল হিসেবে স্টিলপ্লেট আমদানিতে শুল্কের হার ৩৭ শতাংশ, যা পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বেশি থাকায় শুল্কের হার দাঁড়ায় প্রায় ৬০ শতাংশ। এরপরও পণ্য উৎপাদন করে লোকাল পর্যায়ে সরবরাহ করতে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। সমুদয় শুল্ক ও ভ্যাট প্রদান করে দেশীয় উদ্যোক্তারা যে এলপিজি গ্যাসাধার ও যন্ত্রাংশউৎপাদন করে তার মূল্য আমদানি পণ্যের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। ফলে দেশীয় নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা এ শিল্পেটিকে থাকতে পারছে না। এক্ষেত্রে যদি দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাঁচামাল আমদানি এবং গ্যাসাধার ও অন্য মেশিনারিজ সরবরাহের জন্য সরাসরি শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রদান অথবা রপ্তানি ও লোকাল সরবরাহের ক্ষেত্রে বন্ডের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ আয়রন অ্যঅন্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু জর গিফারী জুয়েল তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো, জাতীয় বাজেটে লৌহশিল্পের বিভিন্ন কাঁচামালে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ও মধ্যবর্তী শুল্কহার নির্ধারণ এবং আরডি প্রত্যাহার করতে হবে। ভ্যালুয়েশন রুল ২০০০ অনুসারে উপরোক্ত এইচএস কোডভুক্ত পণ্যের সব দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে ইনভয়েস ভ্যালুতে শুল্কায়ন, এআইটির ওপর সারচার্জ প্রত্যাহার, আমদানি পর্যায়ে বন্ড ও ট্যাক্স সুবিধা বন্ধ করে উৎপাদনের পর বিপণন পর্যায়ে ট্যাক্স সুবিধা প্রদান, বাজেট পরবর্তীসময়ে ট্যারিফ মূল্য পরিবর্তন না করা ইত্যাদি।

এসএম/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।