কমছে বৈদেশিক অর্থায়ন, ছোট হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট
প্রতি বছরের মতো এবারও সংশোধন করা হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ। সংশোধিত হয়ে এডিপির আকার কমছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারায় এ অর্থ এডিপি থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে।
তবে অন্য অর্থবছরগুলোতে সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন অংশ অপরিবর্তিত থাকলেও এবার সেখান থেকেও অর্থ বরাদ্দ কমানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বর্ধিত সভায় সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। রোববার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন হতে পারে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত অন্য অর্থবছরগুলোতে সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন অপরিবর্তিত রেখে বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে বরাদ্দ কমানো হতো। তবে এবার নিজস্ব অর্থায়ন থেকেও একটি বড় অংশ কেটে ফেলা হচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তবে বৈদেশিক এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এডিপি সংশোধন করা হচ্ছে। তাতে সব মিলিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত এডিপিতে মূল এডিপির ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ বাদ যাচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিল হিসেবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে। এতে সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব তহবিল দাঁড়াবে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এদিকে বর্তমানে মূল এডিপিতে বৈদেশিক অর্থায়নে বরাদ্দ রয়েছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ কমানোর ফলে সংশোধিত এডিপিতে এর আকার দাঁড়াচ্ছে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস