ইপিজেডের শিল্পে সোলার পণ্য আমদানি শুল্কমুক্ত চায় বিল্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশের আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ৪৪৯টি শিল্প ইউনিটের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছয়টি সোলার পণ্য আমদানি করতে চায় বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)।

পাশাপাশি আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য কাঁচামালের শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা সহজীকরণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেশনসহ একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিক অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আমদানি পর্যায়ে উৎপাদনকারীর জন্য অগ্রিম আয়কর ও বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় চেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান তা বিবেচনার আশ্বাস দেন।

বিল্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসচিব ফেরদৌস আরা বেগম বলেন,
ইপিজেডের কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে। এর ফলে একদিকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অবদান রাখছে এবং অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব গ্রিন এনার্জি উৎপাদন করে দেশকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করছে। এসব
কারখানায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের বিদ্যুতের সাশ্রয় যেমন হবে, উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়ে সাশ্রয় হবে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও।

ইপিজেডের বিনিয়োগকারীরা শিল্প ইউনিটে সোলার প্যানেল স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

৪৩টি সেবার বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার বিধানটি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, এটির পুনর্মূল্যায়ন দরকার। নতুন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনতে এটি প্রয়োজন।

গবেষণাধর্মী ট্রাস্টসমূহকে হ্রাসকৃত আয়কর প্রদান অনুমোদনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোম্পানির এবং ট্রাস্টের কার্যক্রম ভিন্ন হলেও দুটির ক্ষেত্রে একই (২৭ দশমিক ৫ শতাংশ) করহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড কোম্পানি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর, তাই তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিপালনে করহার ভিন্ন হওয়া দরকার। রপ্তানিকারক
পোল্ট্রি, মৎস্য চাষ থেকে আয়ের জন্য হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য রয়েছে, যা দেশের কৃষি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকে গতিশীল করেছে। এছাড়া চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে রেয়াত পেয়ে থাকে।

ট্রাস্ট হিসেবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিজ ক্ষমতাবলে আয়কর আইন-২০২৩ এর ধারা ৭৬(১) অনুযায়ী অলাভজনক সেবামূলক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার আয়ের ওপর শর্তহীনভাবে হ্রাসকৃত হারে করহার নির্ধারণ করে এসআরও জারি করতে পারে।

এসএম/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।