শিল্প নগরীতে জুয়েলারি কারখানার জন্য জমি বরাদ্দের আশ্বাস মন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্প নগরীতে জুয়েলারি শিল্পের কারখানা স্থাপনে জমি বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রতিনিধিদলের জমি বরাদ্দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ আশ্বাস দেন তিনি।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাজুস আজকে মৌখিকভাবে তাদের যে দাবিগুলো জানিয়েছে সেগুলো শুনেছি। লিখিত দাবি দিলে আমরা বসে ধাপে ধাপে যাবো। পাশাপাশি আমরা একটি সময় উপযোগী পরিকল্পনা নেবো। কারণ আমরা দ্রুত বিশ্ববাজারে যেতে চাই। রপ্তানি করতে চাই, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। এগুলো আমাদের সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রস্তুত আছি, আপনারা দেরি না করলে হবে। কারণ এ সরকার ব্যবসাবান্ধব। জুয়েলারি শিল্প আমাদের একটি টার্গেট। এটাকে আমরা একটি জায়গায় নিয়ে যাবো।

গোল্ড হাব বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে আমি জায়গা দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আবেদন করেন, আমি দিয়ে দেবো। বিসিকের সঙ্গে কথা বলবো। ঢাকা থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে বসুন্ধরার পাশেই। এটা একটা সুন্দর জায়গা সিলেট হাইওয়ে সাথে রয়েছে। বর্তমানে তাঁতিবাজারে যে শিল্প কারখানা গুলো রয়েছ। সেগুলো সেখানে চলে যেতে পারবে। আমি আপনাদের পাশে আছি।

ট্যাক্স-ভ্যাট বিষয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আপনারা শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের বাইরে আমাদের আরও একটি পণ্য রয়েছে চামড়া। যেটা আমাদের নিজস্ব সম্পদ। আর স্বর্ণ আমদানি করে আনতে হয়। তৈরি পোশাকে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেটা চামড়া শিল্পেও দেওয়া হবে। কিন্তু জুয়েলারি শিল্প যেহেতু আমদানি নির্ভর, তাই ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে পারি। যেহেতু এটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার, ভারতসহ অন্যান্য দেশ রয়েছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের স্বল্প মূল্যে শ্রমিক পাওয়া যায়, ফলে অনেক কম খরচে তৈরি করতে পারবো। যা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সহায়ক হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বাজুসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। সরকার আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে নিয়মিত ওজন পরিমাপক যন্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএসটিআইয়ে এখন আধুনিক যন্ত্র এসেছে, নতুন নতুন পরীক্ষাগার হয়েছে। এখন একটি স্বর্ণালংকার দিয়ে দিলে সেখানে কি আছে সব কিছু চলে আসছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে বিএসটিআইয়ের একটি স্বর্ণ পরীক্ষার যন্ত্র বসানোর জন্য আলোচনা করে প্রয়োজন হলে সেটা করবো।

বৈঠকে বাজুসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহ-সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম (লাভলু), মোস্তফা কামাল, কাজী নাজনীন হোসেন, মো. আসলাম খান অপু, ফরিদ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগরওয়াল, মো. মজিবর রহমান খান, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জয়দেব সাহা, ইকবাল উদ্দিন, হাজী মো. শামসুল হক ভূঁইয়া, নাজমুল হুদা লতিফ এবং মো. আলী হোসেন।

এমএএস/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।