নতুন আইপিও আনার তাগিদ ডিএসই চেয়ারম্যানের
শেয়ারবাজারে নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এবং নতুন প্রোডক্ট আনার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নতুন নির্বাচিত কমিটির বৈঠকে তিনি এ তাগিদ দেন।
বৈঠকে ডিএসই’র চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এদের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে চাই। পুঁজিবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো মার্চেন্ট ব্যাংক। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আপনাদের দায়িত্ব অনেক।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় রুলস রেগুলেশেন্স পরিবর্তন করার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বাজারের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসঙ্গে কাজ করে তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ট্যাক্স বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।
পলিসিগত যেসব পরিবর্তন আনতে হবে সেসব বিষয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএসই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, মার্কেটের অস্বাভাবিকতাগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। আইপিও নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আইপিও রিলেটেড কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে সে বিষয়টিও আমরা দেখছি।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান বাবু বাজারে নতুন আইপিও ও নতুন প্রোডক্ট আনার ব্যাপারে জোর তাগিদ দেন এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি ডিএসইকে গঠনমূলক মতামত ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে বিএমবিএ’র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, বাজারে বর্তমানে বেশকিছু সমস্যা কাজ করছে। এর মধ্যে মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, গুণগত মানসম্পন্ন আইপিওর অভাব, আইপিও প্রাইসিং সিস্টেম, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, মার্জার একুইজেশন, পলিসিগত প্রতিবন্ধকতা, এটিবি মার্কেট গতিশীল করা, বিভিন্ন রুলস রেগুলেশন্স, বাজার পরিস্থিতি, কমপ্লায়েন্স, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, গবেষণায় জোর দেওয়া ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সব রেগুলোটর সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএমবিএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, এফসিএসসহ কমিটির সদস্যরা এবং ডিএসই’র পক্ষে পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা, মো. শহীদুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ, মো. শাকিল রিজভী, শরিফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এমএএস/ইএ/এএসএম