চামড়া পচে গেলেও হাজারীবাগে ঢুকবে না: শিল্পমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৬

চামড়া পচে গেলেও হাজারিবাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারে সরিয়ে নিতে হবে বলে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৬ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের  তিনি একথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে সরকার আর কোনো খেলা খেলতে দেবে না। গুটি কয়েক মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হতে দেয়া হবে না বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘বর্তমানে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ৪০-৬০টি কারখানার চালুর মত অবস্থানে রয়েছে। গত দেড় মাস আগেও বলেছি, মার্চের পর থেকে হাজারীবাগে কোনো কাঁচা চামড়া ঢুকবে না। এতে ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেনি। যুগ যুগ ধরে যে সব ব্যবসায়ী মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পচে গেলেও হাজারীবাগে কোনো চামড়া ঢুকবে না। যে কোনো মূল্যে হাজারীবাগে থেকে ট্যানারিগুলো সাভারে সরিয়ে নিতে হবে।

চামড়া শিল্প নগরীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না মর্মে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তু রয়েছি। কিন্তু কাদের সংযোগ দেয়া হবে? কেউ তো আবেদনই করে নি। যারা আবেদন করবেন, তাদের এখনই গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’  
 
ট্যানারি স্থানান্তর বিষয়ে গত দুই দিনে কয়েকটি পত্রিকার সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এত দিন ট্যানারি স্থানান্তর না হওয়ায়, পত্রিকাগুলো সরকারকে দায়ী করে সংবাদ ছাপিয়েছে। এখন হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকতে না দেয়ায় চামড়া স্তুপের ছবি ছাপিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য মায়াকান্না করছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা যখন লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তখন কিছু মিডিয়া চামড়া ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া বিভ্রান্তিকর ও দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসআই/জেএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।