দেশে এখন সবুজ কারখানা ২০৬
রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ ভাগ নেতৃত্ব দেয় দেশের তৈরিপোশাক শিল্প। আজ থেকে দশ বছর আগে রপ্তানির প্রধান এ খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ২০৬টিতে দাঁড়িয়েছে। পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, সবুজ কারখানা পোশাক খাতের রপ্তানি বাড়াতে বড় অবদান রাখছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও তিন পোশাক কারখানা। এ নিয়ে দেশের সবুজ কারখানা বেড়ে হলো ২০৬টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়।
এর আগে ২০১২ সালে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু দেশে। কারখানাটি পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর থেকে বাড়তে থাকে সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা।
বিজিএমইএ-বিকেএমইএ নেতারা জানান, সবুজ কারখানা মানে বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর তৈরি হওয়া। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি কোন সবুজ কারখানায় উৎপাদিত হওয়ায় বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিও করা যায়। সবুজ কারখানার সনদ দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) সনদপ্রাপ্ত আরএমজি কারখানার সংখ্যা বাংলাদেশে ২০৬-এ ছুঁয়েছে। ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৭৬টি, গোল্ড ১১৬টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৬টিতে। বিশ্বের সেরা কিছু কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ। বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
ইএআর/এমএইচআর/এএসএম