রিজার্ভ চুরি : জড়িতদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির তদন্ত করবে ফিলিপাইন


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত ফিলিপাইনের মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা কর ফাঁকি দিয়েছেন কিনা তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীন রাজস্ব ব্যুরো (বিআইআর)। মঙ্গলবার বিআইআর’এর প্রধান কিম হেনারেস এ তথ্য জানিয়েছেন।

ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ফিলিপাইনের সাধারণ সদস্য বৈঠকের ফাঁকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা সম্পর্কে হেনারেস বলেন, এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে একটি বিতর্ক আছে, আমরা যে এ বিষয়ে অমনোযোগী নই, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত করবো।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, যদি যথাযথভাবে কর পরিশোধ করা হয়ে থাকে, তাহলে কারো কোনো সমস্য হবে না। আর যদি যথাযথভাবে কর পরিশোধ করা না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের সমস্যা আছে। যার বিরুদ্ধেই তদন্ত প্রয়োজন, তা করা হবে।

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক, রেমিটেন্স অ্যাজেন্সির একাধিক মালিক ও ক্যাসিনোর অপারেটর বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া আটশ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত বলে ইতোমধ্যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাকাতি সিটির আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার পাঁচটি ভূয়া অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ অর্থ চুরির ঘটনা নিয়ে ফিলিপাইনের সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির শুনানি চলাকালীন এ তদন্তের ঘোষণা দিলেন হেনরেস। দেশটির ব্যাংকের গোপনীয়তা আইন প্রত্যাহারেরও দাবি জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ব্যাংকের গোপনীয়তা আইনের আড়ালে অনেক সময় অপরাধীরা লুকিয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার লুট করে হ্যাকাররা। এর মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার চীনা ব্যবসায়ী কিম অং এর কাছে রয়েছে বলে মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা জানান তিনি। 

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।