সবজির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, চিনি-আলু-পেঁয়াজ চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

বাজারে কয়েকটি সবজির দাম কমেছে গত সপ্তাহের চেয়ে। দীর্ঘ সময় পর ক্রেতার জন্য সুখবর এটি। কিন্তু আলু আমদানি শুরু হলেও তার কোনো প্রভাব বাজারে পড়েনি। পাশাপাশি চিনি আমদানিতে সরকার শুল্ক কমিয়ে অর্ধেকে নামালেও বাজারে পণ্যটির দাম আগের মতো বেড়ে রয়েছে। এছাড়া বাজারে চড়া দামে আটকে আছে পেঁয়াজ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

jagonews24

খুচরা বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছিল সবজি। এরমধ্যে গত সপ্তাহটা হরতাল, অবরোধে কেটেছে, যে কারণে ক্রেতাদের শঙ্কা ছিল বাজারের সবজির দাম আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। তবে সেটা হয়নি বরং গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

আরও পড়ুন>১ লাখ টন আলু আমদানির অনুমতি, এসেছে ৭৭ টন 

এরমধ্যে পটল, ঢেঁড়স, বরবটির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, বরবটি, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, উস্তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা একশো টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি শুরু হলেও কমেনি আলুর দাম। সেদিন সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭০ টন আলু দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। এরআগে সোমবার আলুর বাজারে লাগাম টানতে কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দেয়। এরইমধ্যে ৫০ হাজার টনের বেশি আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

jagonews24

এমন পরিস্থিতিতে খুচরা পর্যায়ে আলুর প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে একই দামে ছিল। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। আর বাজারে আগাম নতুন আলু এসেছে। সেটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।

আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে আলু আমদানি শুরু

বাজারে কিছু ইতিবাচক প্রভাব থাকার কথা চিনির দামে। কারণ গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে অর্ধেকে করেছে। তবে এরপর বাজারে পণ্যটির দাম আরও বেড়েছে। বাজারে এখন খোলা চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেশি।

jagonews24

জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, চিনির দাম কমেনি বরং আগের থেকে ৫ টাকা কেজিতে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শেষ মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তায় চিনির দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্যাকেট চিনির কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। এতদিন আমরা কেজি ১৩১ টাকায় কিনে ১৩৫ টাকায় চিনি বিক্রি করতাম। এখন কিনতে হয় ১৩৫ টাকা দরে। বিক্রি ১৪০ টাকা।

jagonews24

আরও পড়ুন> চিনির আমদানি শুল্ক কমলো 

গত রোববার থেকে ভারত পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মুল্য বেঁধে দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। এরমধ্যে পাড়া-মহল্লায় কিছু দোকানে ১৫০ টাকাও বিক্রি করতে দেখা গেছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

আনিসুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন পুরাই অসাধু। পেঁয়াজ আমদানি করতে বেশি টাকা লাগবে সেই খবর শুনেই তারা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু আলু আমদানি হচ্ছে সেটা কোনো প্রভাব নেই। চিনির শুল্ক কমেছে সেটার কোনো খোঁজ নেই।

jagonews24

তিনি বলেন, আসলে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে বিক্রেতারা সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর করেন। কিন্তু কমলে সে দাম কার্যকর করতে তাদের গড়িমসির শেষ থাকে না।

এনএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।