রিজার্ভ লুট : কর্মীদের ল্যাপটপ পরীক্ষা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রিজার্ভ লোটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ডেক্সটপ ও ল্যাপটপগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা। মঙ্গলবার সাংবাদিকের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনেক সময় কর্মকর্তারা ল্যাপটপগুলো অফিসের পাশাপাশি বাইরেও ব্যবহার করেন। সে বিষয়টিও চেক করে দেখা হবে। সাইবার এ্যাটাকের কারণে ল্যাপটপে কোন ঝুঁকি রয়েছে কি না এবং কোন সফটওয়্যার বসানোর প্রয়োজন আছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।
তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এম মধ্যে একটি হচ্ছে সরকার কর্তৃক সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি, একটি সিআইডি তদন্ত করছে এবং অন্যটি করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেনসিক টিম। অগ্রগতি চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সাইবার সিকিউরিটি ও আইটি সিকিউরিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছি। ব্যবস্থাগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য আগের গভর্নরের সময় থেকেই কাজ করা হচ্ছে। এখন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের ল্যাপটপগুলো নেয়ার ফলে কাজে কোন ধরনের অসুবিধা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িক একটু অসুবিধা তো হবেই। তারপরও প্রত্যেকের যেহেতু ল্যাপটপের পাশাপাশি ডেক্সটপ রয়েছে, তাই কাজে খুব বেশি অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিসের ল্যাপটপগুলোই পরীক্ষা করা হবে। এখানে প্রায় ১৫০০ ল্যাপটপ রয়েছে।
ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্য আদান প্রদান করছে কি না এবং করে থাকলে সেটা কিভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তাদের এন্টি মানি লন্ডারিং টিম চুরির সঙ্গে জড়িতদের বের করতে ও চুরির টাকা আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। এতে তারা আমাদের কাছে কোন তথ্য চাইলে সেটার যেটুকু দেয়া সম্ভব তা দিচ্ছি। তাদের কাছেও আমরা কিছু চাইলে তারা আমাদেরকে করছে।
ফিলিপাইনের সিনেটে আজ শুনানি হয়েছে উল্লেখ করে শুভঙ্কর বলেন, দায়ী ব্যাংক ও আভিযোগকারীদের চিহ্নিত করে, টাকা লুটকারীদের চিহ্নিত করে এবং টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করছি। আমাদের তথ্য মতে শ্রীলংকার ও ফিলিপাইনের ৩৫টি ভুয়া নোটিশে টাকাগুলো চলে গেছে। এদের মধ্যকার ৪ জন সুবিধাভোগীদের ধরার বিষয়ে দেশগুলো কাজ করছে।
এসআই/এসকেডি/পিআর