আতঙ্কের বাজারে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের চমক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবর আসার পর গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্য এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক ও লেনদেন। এমন পতনের বাজারে কিছু প্রতিষ্ঠানের বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস।

এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কাছে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে ছিল। এতে সপ্তাহজুড়েই শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার।

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ চার কার্যদিবসে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৪ টাকা ৬০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ২২ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৭০ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৬৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।

শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিাটির শেয়ার প্রতিদিন মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৯ সালে ৩০ শতাংশ নগদ, ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৭ সালেও ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩৪ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটির মুনাফায় উন্নতি হয়েছে।

মাত্র ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২৪ লাখ। এর মধ্যে ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার আছে।

এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের পর বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ড্যাফোডিল কম্পিউটারস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ১০ দশমিক ২০ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, এরামিট লিমিটেডের ৬ শতাংশ, এপেক্স ফুডসের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়্যারের ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এমএএস/এমএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।