৯ দিনে পাইকারিতে ১০০ ডিমে দাম কমেছে ৪০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না ডিমের দাম। এ অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি মেলে। পরে সে অনুমোদন বাড়িয়ে ১০ কেটি পিস করা হয়। এরপর গত ৯ দিনে দুই দফায় পাইকারিতে কিছুটা কমে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।

প্রথম দফায় গত সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০টি ডিমের দাম ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে। শেষ দফায় গত দুদিনে কমেছে আরও প্রায় ২০ টাকা। এতে আমদানির খবরের পর থেকে নয়দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কমেছে প্রতি একশোতে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় কমেনি। এখনো অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৫০ বা তার আশপাশে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। আবার কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ডিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হাত বদলেই ডজনে ডিমের দাম বাড়ছে ২০ টাকা

এর আগে সরকার ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি পিস ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ খুচরায় প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা বেশি। যদিও কোনো বাজারের দোকানে এখন ৪৮ টাকায় ডিম মিলছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচা ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়। তানা জানান, পাইকারিতে ১০০ পিস বাদামি রঙের ডিম কিনেছেন এক হাজার ১৩০ থেকে এক হাজার ১৪০ টাকায়, গতকাল যা ছিল এক হাজার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এতে তাদের প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ পয়সা পর্যন্ত।

এদিকে এলাকার বাজারের অধিকাংশ দোকানীরা এসব ডিম বিক্রি করছেন প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা দরে। অর্থাৎ ১২ টাকা ৮ পয়সায়। তবে হালি নিলে নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা দর। প্রতিটি সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ, আমদানির সিদ্ধান্ত

সেগুনবাগিচার ডিম ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, দুদিন আগে পাইকারিতে ডিমের দাম ১৫-২০ টাকার মতো কমেছে। দাম আরেকটু কমলে ১২ টাকায় বিক্রি করে লাভ হবে। এখন ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করলে লাভ থাকে না। পরিবহন খরচ, ডিম ভেঙে যাওয়া, দোকান ভাড়া ও শ্রমিক খরচ হিসাব নিলে প্রতিটি ডিমে এক টাকা লাভ রাখতে হয়।

শান্তিনগর এলাকায় কুমিল্লা স্টোরের হাফিজ বলেন, পাইকাররা ডিম আমাদের দোকানে দিয়ে যায়। তারা এখনো দাম কমায়নি। তাই আগের দামে বিক্রি করছি।

ডিমের দাম কমার বিষয়টি ওঠে এসেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) হিসাবেও। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা হালিতে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় দুই টাকা কম।

আরও পড়ুন: ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকার বেশি আমরাও চাই না: ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন

অন্যদিকে বর্তমানে ডিমের বাজার স্থিতিশীল বলে উল্লেখ করে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, ডিমের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা কম। এখন সরবরাহ ভালো। দাম ধীরে ধীরে কমছে। গত দুদিনে দাম একশোতে ২০ টাকা কমেছে।

এনএইচ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।