দুর্গাপূজায় ৫ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হতে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এবার দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি’ পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এখন ইলিশের মৌসুম, বাজারে চড়া দাম। তারপরও ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে, এতে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করি না। শুধু দুর্গাপূজায় যেসব বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছাস্বরূপ ইলিশ দেওয়া হয়। যেমন আমের সময়, আমরা আম পাঠাই। সারাবছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রপ্তানি করিনি। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেনস্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করবো।
আরও পড়ুন: ইলিশ আমদানিতে ৬০ দিন সময় চান কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা
দেশে বছরে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হয়, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই হিসাবে প্রতিদিন যদি আমরা ধরি, তাহলে গড়ে দুই হাজার টন ইলিশ ধরা হয়। বড়জোর পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবো। তাতে দুদিনের উৎপাদন আমরা তাদের দেবো এই পূজার সময়।
তিনি বলেন, পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। গতবছর এই সমপরিমাণ দিয়েছি। আগের বছরও পাঁচ হাজার কিংবা তিন হাজার টন দিয়েছিলাম। তিন হাজার টন দিয়ে যদি পারি, তাহলে এর বেশি আমরা দেবো না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ৮ মণ ইলিশ উদ্ধার
এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন টিপু মুনশি। কবে থেকে এটা কার্যকর হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা পূজার সময়ে প্রতিবছর দিই। এবারও দেবো।
তিনি বলেন, আবেদনের ওপর নির্ভর করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হয়তো ৫০ টন করে দেবো। এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তাতে তিন হাজার বা সাড়ে তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: চড়া ইলিশ, নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে অন্য মাছও
আইএইচআর/বিএ/এএসএম