৭ দিনে প্রবাসী আয় এলো ৪ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গত জুন মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে। এর পর থেকেই রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার গতি কমে যায়। সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার এবং তার আগের মাস জুনে এসেছিল ২১৭ কোটি ডলার।

মূলত জুনের পরই কমা শুরু হয় রেমিট্যান্স। বেশি কমে যায় আগস্ট মাসে। আগস্ট মাসের মতোই একই ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরেও। চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে মোট ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রার এর পরিমাণ (এক ডলার সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ৪ হাজার ৩৮ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম সাত দিনে মোট ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এসময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে এসেছে ৫৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

আরও পড়ুন>>> প্রবাসী আয় খাতে প্রণোদনা ব্যয় ৬২ বিলিয়ন টাকা

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তবে আলোচিত সময়ে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে-বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৮.৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি। এটি আগের মাস জুনের তুলনায় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কমে ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্সে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন>>> প্রবাস জীবন কারো সুখের, কারো দুঃখের

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসা প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।

ইএআর/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।