খাদ্যপণ্য ক্রেতার নাগালের বাইরে, মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২.৫৪ শতাংশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

বাজারে খাদ্যপণ্যে আগুন। ডিম, আলু, তেল, চাল, মাছ, মাংস ও সবজির দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে গেলেও মনের মতো সদাই হওয়া দায়। সেই আঁচ পাওয়া গেছে মূল্যস্ফীতিতে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা এর আগে কখনো হয়নি। এর আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। গত ১১ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির এ হার সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। ২০২০-২১ অর্থবছরেও খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে এ খাতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হয়েছে দিগুণের বেশি।

আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য কিনতেই যায় আয়ের ৪৫.৮ শতাংশ 

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্য মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। ২০২০ সালে খাদ্য খাতে ১০০ টাকার পণ্যে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছিল। একই পণ্যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বেড়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। তবে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালী, চিকিৎসা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছে বিবিএস।

আগস্টে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের মাস জুলাইয়ে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এরমধ্যে গ্রাম এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১১ শতাংশে। উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১০ শতাংশের নিচে ছিল।

অন্যদিকে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ের ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে কমে আগস্টে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে। এরমধ্যে আগস্টে গ্রাম এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও শহর এলাকায় এটি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এছাড়া গ্রামে এখন সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর শহরে এখন সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হঠাৎ করেই ডিম ও আলুর দাম বেড়েছ। এসব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। সেই সঙ্গে বন্যা এবং অতিবৃষ্টির কারণে আগস্ট মাসে পণ্য সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বৃষ্টি ও বন্যা কমে গেলে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তখন ধীরে ধীরে আবারও নিত্যপণ্যের দাম কমবে।

এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।