বাগেরহাটে হচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট শর্তে চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
আরও পড়ুন: সৌর বিদ্যুতে কাটছে তিস্তাপাড়ের অন্ধকার
তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবটি ফেরত নেওয়া হয়েছে। বাকি ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অনুমোদন পাওয়া ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানি, বাংলাদেশের কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এবং মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি খাতে রামপালে ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ট্যারিফ অনুমোদনের একটি প্রস্তাব আসে, প্রস্তাবটি আজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে ১২ শতাংশ মূল্যছাড়, ৬ শতাংশ উৎসে কর এবং সাড়ে ১৮ শতাংশ প্ল্যান্টখাতে উক্ত কোম্পানিকে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এমএএস/বিএ/জিকেএস