অধিক বৃষ্টি-গরমে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি আফতাব খান বলেছেন, অধিক গরম ও অধিক বৃষ্টি দুটোই কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে বাঁধা সৃষ্টি করে। গরম ও বৃষ্টি কাঁচা চামড়ার শত্রু। এবার কোরবানির ঈদে অধিক বৃষ্টি এবং বৃষ্টি কমলে ভ্যাপসা গরম দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে। তবে, এর বেশি হলে ব্যবসায়ীদের জন্য মহাবিপদ হবে।
শুক্রবার (৩০ জুন) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। আফতাব খান বলেন, অধিক রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয় কাঁচা চামড়া।তারপরও মানুষকে সচেতন হতে হবে। ১০ শতাংশ নষ্ট হলেও কোনোরকম টিকে থাকবে। এর বেশি হলে সবাইকে পথে বসতে হবে।’
আরও পড়ুন>> সারাদেশে এক কোটি ৪১ হাজার পশু কোরবানি
পোস্তায় কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের টার্গেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ সালে পোস্তায় মোট ২০৭টা আড়ত ছিল। এখন এটা কমতে কমতে ৬০টায় দাঁড়িয়েছে। মানুষ করোনায় ও বৈশ্বিক মন্দায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। কেউ কেউ আবার সাভার ট্যানারির পাশে চলে গেছে। তারপরও আমরা ১ লাখ চামড়া কিনবো। এরই মধ্যেই টার্গেটের ৭০ শতাংশ পূরণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা খুব সমস্যায় আছি। সরকার যদি সাভার ট্যানারির পাশে একটি চামড়া কেনাকাটা পল্লী করে দিত ভালো হতো। ২১ একর জমিতে এ পল্লী হবে। যেদিন হবে সেই দিন থেকে সুফল মিলবে। তখন আমরা আরও চামড়া কিনতে পারবো।
আরও পড়ুন>> সংরক্ষণ ত্রুটিতে প্রতিবছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়
অধিক কাঁচা চামড়া কেনায় বাধা কি? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে ২০১৪ সাল থেকে ১১০ কোটি টাকা পাবো। কিছু কিছু ট্যানারি আমাদের কাছ থেকে চামড়া নিয়ে টাকা দেয় না। তারা আমাদের পাওনা দিলে ভালো হতো। সামনে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করবো।
রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তায় ছোট আকারের গরুর চামড়া ৪০০–৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি আকারের গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০–৮০০ টাকা আর বড় আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০–১২০০ টাকায়। তবে, অধিকাংশ আড়তদার ছোট আকারের গরুর চামড়া এবং খাসি ও বকরির চামড়া কিনতে অনীহা দেখান।
আরও পড়ুন>> বৃষ্টি আর লবণ সংকটে চামড়া নষ্টের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম