রিজার্ভ লুট : অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ লুটের বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রণালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে হ্যাকিং করে অর্থ লুটের ঘটনায় সরকারের অবস্থান তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাও জানানো হবে।
এদিকে সোমবার সকালে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে অর্থচুরির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ-কালের মধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হবে। শিগগিরই ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
এর আগে রিজার্ভের অর্থ লুটের বিষয়ে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম।
বৈঠক শেষে সাংবাকিদদের আসলাম আলম বলেন, ঘটনা ঘটার পর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থমন্ত্রণালয়কে কিছু জানানো হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি বোর্ড মিটিংসহ ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অডিট কমিটি করেছি। রিজার্ভের অর্থ লুটের বিষয়ে এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি এবং কোন আলোচনাতেও আনা হয়নি।
কেন অর্থমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি এ বিষয়ে তিনি জানতে চাইলে সচিব বলেন, তারা এখন বলছে তারা তদন্ত করে পুরো বিষয়টি জানাবে। কিন্তু আমি তো মনেকরি আমাদের বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন ছিল। এতে মন্ত্রণালয় সন্তুষ্ট নয়। আজকে আমি বিষয়টি জানতে এসেছি। তথ্য উপাত্ত নিয়ে গেলাম। রিপোর্ট তৈরি করে এটি অর্থমন্ত্রীকে জানাবো। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
অর্থ লোপাটের বিষয়টি চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে তাকে ‘অযোগ্যতা’ আখ্যায়িত করে ক্ষুব্ধ হয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে সরিয়ে ফেলা হয়।
শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরো ২০ মিলিয়ন ডলার সরানো হলেও তা ফেরত আনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এমনকি বিষয়টি অর্থমন্ত্রী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব কাউকে জানানো হয়নি।
এসআই/এসকেডি/এবিএস