বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ডলার সংকটে কমেছে রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ২৫ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

দেশের শিল্পখাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ডলার সংকটে রপ্তানি কমছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২০২১ সালে রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (রপ্তানি ও বাণিজ্য) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারখানাগুলোতে গ্যাস দিতে হবে। অন্যথায় রপ্তানি কমে যেতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে রপ্তানি কিছুটা কমেছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ও ডলার সংকটের কারণে দেশে শিল্পায়ন কমেছে। একসময় অবশ্য অবকাঠামো না থাকার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছিল না। সরকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছে, তাতে সমস্যার কিছু সমাধান হয়েছে। জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে করা হচ্ছে দাবি করলেও আমাদের দেশের কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা কম।

বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশ দারিদ্র্যসীমা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের চেষ্টা, ত্যাগ, একাগ্রতার ফলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে। রপ্তানি খাতেও প্রবৃদ্ধি আসবে।

সিআইপিদের পক্ষ থেকে আকিজ জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে আমি সিআইপি। এটি বড় একটা অর্জন। তবে এটি পেতে অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ করতে হয়েছে। ব্যবসায়ী হলে অনেক সমস্যা থাকে, তবে সিআইপি হওয়ার মাধ্যমে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা কিছু সুবিধা পেয়ে থাকি।

তিনি বলেন, সিআইপি কার্ডধারী হওয়ায় বিমানবন্দরসহ বেশকিছু জায়গায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে কিছুটা ঝামেলাহীন চলাচল করা যায়। এখন বছরে দুই বিলিয়নের মতো পাট রপ্তানি হচ্ছে। এটি কীভাবে ৫ বা ১০ বিলিয়নে নিয়ে যাওয়া যায় সে চেষ্টায় আছি। সারাদেশে পাটের ব্যবসার ৪০ শতাংশই আকিজের দখলে। আমরা পাট দিয়ে কোর্টের মতো পণ্য তৈরি করছি। আগামীতে জুতা তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যবসা সহজীকরণের বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান। আমরা দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দেশের রপ্তানি গতিশীল থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

২০২১ সালের জন্য দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৮০ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে সরকার।

এনএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।