কক্সবাজার রেলপথে ৪৩০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে নতুন করে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ডলারপ্রতি ১০৭ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে ঋণচুক্তিটি সই হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে ওই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ দিকে। সব ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ শেষ হচ্ছে। ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে ৭০ কিলোমিটারে ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আর মাত্র ৩০ কিলোমিটার ট্র্যাক বসানো শেষ হলেই শুরু হবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল। সারাদেশের সঙ্গে পর্যটননগরী কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করতেই এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।
বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের (বিআরএম) অফিসার ইনচার্জ জিয়াংবো নিং ঋণচুক্তিতে সই করেন।
প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন; যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারত্ব বাড়ানো; কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের সঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ জুলাই ২০১০ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: চলতি বছরই রেল যাবে কক্সবাজার, বদলে যাবে পর্যটন
এডিবির এ অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস (ওসিআর) ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ঋণ সুদের হার দশমিক ৫ শতাংশ ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া অবিতরণকৃত ঋণের ওপর দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে।
এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ২৮ হাজার ৮৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৫৩ মিলিয়ন ডলারের অনুদান সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণে ঘুরে দেখবেন যত ট্যুরিস্ট স্পট
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম